Logo
Logo
×

অন্যান্য

নির্বাচনে ৩ দিনের ছুটিসহ ১৭ সুপারিশ গণঅধিকারের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ পিএম

নির্বাচনে ৩ দিনের ছুটিসহ ১৭ সুপারিশ গণঅধিকারের

নির্বাচনে তিনদিন ছুটিসহ ১৭টি সুপারিশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। সোমবার নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে এমন সুপারিশ করে দলটি।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার সংস্কার কমিশনের কাছে সুপারিশ জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। কিন্তু এদিন অফিসে (সংস্কার কমিশন) এসে তাদের পাওয়া যায়নি। তাই আমরা ই-মেইলের মাধ্যমে সুপারিশ জমা দিয়েছি।

গণঅধিকার পরিষদের ১৭ সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে সংবিধানে নির্বাচনকালীন ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্তকরণ এবং সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা গঠন করা। জুলাই বিপ্লবে গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান যুক্ত করা। নির্বাচন কমিশনের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো। সেক্ষেত্রে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি আট বিভাগে আটজন নিয়োগ দেওয়া। নির্বাচন কমিশন গঠনে বর্তমান বিতর্কিত সার্চ কমিটির প্রক্রিয়া বাতিল করে রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে সার্চ কমিটি গঠনে আইন প্রণয়ন করা। সার্চ কমিটি কমিশনের সদস্য সংখ্যা দ্বিগুণ চূড়ান্ত করে গণমাধ্যমে প্রচার ও গণশুনানির মাধ্যমে নাম চূড়ান্ত করবে। রাষ্ট্রপতি ওই নাম থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সচিব নিয়োগ। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং উচ্চকক্ষে ১০০ ও নিম্নকক্ষে আসন ৩০০। নিম্নকক্ষে সরাসরি ভোটে এবং উচ্চকক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটে সংখ্যানুপাতিক হারে আসন নির্ধারণ। সংরক্ষিত আসন বাতিল করে সব আসনে সরাসরি নির্বাচন। স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী, মাফিয়াদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার বিধান যুক্ত করা। ইভিএম ব্যবস্থা বাতিল করা। প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রদানসহ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিধান যুক্ত করা। নির্বাচনে কোনো প্রার্থী, ভোটার, সমর্থক, প্রার্থীর এজেন্টের প্রভাব বিস্তারে যদি নির্বাচন বিঘ্নিত হয়- এমন অনিয়ম, বিশৃঙ্খলায় জড়িত হলে ১০ বছরের জেল এবং ১ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা। জেলা জজদের নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে নির্বাচনসংক্রান্ত অভিযোগের নিষ্পত্তি করা। রাজনৈতিকসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্বাচনে প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার না করা। ভোট গ্রহণের ৭ থেকে ১০ দিন আগে সম্ভাব্য চ‚ড়ান্ত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের কাছে প্রদান করা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কিংবা অন্যান্য কমিশনার নির্বাচনে কোনো পক্ষপাতমূলক ভ‚মিকা ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা প্রমাণিত হলে ১০ বছরের জেল এবং ১০ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা। 

এছাড়া নির্বাচনের কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের স্বতন্ত্র ক্যাডার ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ। নির্বাচনকালীন জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ভোটে অনিয়ম, কারচুপি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে শাস্তিপ্রাপ্ত কাউকে আদালতের অনুমতি ছাড়া শাস্তি প্রত্যাহার না করা। জাতীয় পরিচয়পত্রের সব কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত করার পাশাপাশি এর নিরাপত্তা বিধানে নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করা। জাতীয় নির্বাচনের দিনসহ আগের ও পরের দিন মিলিয়ে নির্বাচনের সময় ছুটি তিনদিন করা। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন প্রাপ্তিতে ন্যূনতম জেলা, উপজেলায় কার্যক্রম নেই- এমন নামসর্বস্ব দলের নিবন্ধন করে রাজনীতিতে কালোটাকা, পেশিশক্তি হ্রাস ও দুর্বৃত্তায়ন বন্ধে প্রকৃত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বাৎসরিক বরাদ্দ প্রদান। নির্বাচনে প্রার্থীদের পোস্টার ছাপিয়ে দেওয়া এবং গণমাধ্যমে প্রচারণার ব্যবস্থা করা। স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিল করে নির্দলীয় রাখা। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া বন্ধ করা এবং ৫০ শতাংশের নিচে ভোট পড়লে পুনরায় নির্বাচন দেওয়া। গুরুতর অনিয়ম, কেন্দ্র দখলসহ নৈরাজ্যকর অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ বন্ধ করতে পারবেন। একইভাবে যে কোনো নির্বাচন বাতিল ও স্থগিত করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের থাকবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে নির্বাচনকালীন সামরিক বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অন্তর্ভুক্তকরণ। নির্বাচনি কর্মকর্তা বিশেষ আইন ১৯৯১-এ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করে তাদের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চত করা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম