দেশে আরও একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।দলটির নাম বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি)।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ।
এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক অধ্যাপক মনজুরুল আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ডা. এটিএম কামরুল ইসলাম, সোমালিয়ায় অবস্থিত দারুস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. আসিফ এস মিজান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক তানভীর আবির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দলটি ৭১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে।দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক হয়েছেন লন্ডন প্রবাসী মো. সোহেল রানা।অনলাইনে যুক্ত হয়ে সোহেল রানা দলের পক্ষ থেকে ২৭ দফা ঘোষণা করে বলেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ঋণ সহায়তা ও কর্মকালীন সময়ে প্রণোদনা দেওয়া হবে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরকে কম্পিউটার ইন্টারনেটসহ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হবে, যেন তারা একটি ভালো চাকরি করতে পারেন। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। আমলাদের লুটপাট বন্ধ করতে হবে। তাছাড়া উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ প্রদান ও নগরীগুলোতে সুপেয় পানির অধিকারসহ জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং রাষ্ট্র ও রাজনীতির সংস্কার করা হবে। আমাদের দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করে দুর্নীতি নির্মূল করা এবং প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সাধন।
‘সংস্কারেই পরিবর্তন-পরিবর্তনের বাংলাদেশ’- এই স্লোগানকে ধারণ করে বাংলাদেশ সংস্কার পার্টি তার মূলনীতি ও মূল্যবোধ হিসেবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা, দলীয় ও সরকারি কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রতিটি স্তরে উন্নয়ন নিশ্চিত করা, সমাজের প্রতিটি স্তরে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং বিচার ব্যবস্থাকে স্বাধীন রাখা, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং পরিবেশ রক্ষায় কঠোর নীতি গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
আমন্ত্রিত অতিথিরা দলটির চিন্তাধারাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সংবিধানে ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে সংস্কারবাদী দলের প্রস্তাবনাগুলো বিবেচনায় আনতে হবে। জনগণের কল্যাণে সাংবিধানিক সংস্কার অতীব জরুরি বলে জানান তারা।