দল নই, তবে আমাদের উদ্যোগ রাজনৈতিক: জাতীয় নাগরিক কমিটি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
জাতীয় নাগরিক কমিটি রাজনৈতিক দল কিনা- এমন আলোচনার মধ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা রাজনৈতিক দল নই। তবে আমাদের উদ্যোগ রাজনৈতিক।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে গঠিত এ নাগরিক কমিটি নিয়ে তারা বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে কিনা, এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের জল্পনা-কল্পনা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সংগঠনের মুখপাত্র সামান্তা শারমিনসহ অন্য নেতারা।
তারা বলেন, স্বৈরাচারী সরকার পতনের জন্য জুলাইয়ে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে সেখানে হাজারের কাছাকাছি ছাত্রজনতা শহিদ হয়েছেন। প্রায় ৩০ হাজারের অধিক আহত হয়েছেন। তাদের এ সাহসী আত্মত্যাগ যেন কোনোভাবে শেষ না হয় সে জন্য সম্প্রতি ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
লিখিত বক্তৃতায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী সরকারের হাত থেকে মুক্ত হয়। জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরিণত হয় সারা দেশের জনগণের মুক্তির আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার কাছে পরাজিত হয় ফ্যাসিস্ট শক্তি। এ আন্দোলনে হাজারের কাছাকাছি মানুষ শহিদ হয়েছেন। তাদের এই সাহসী আত্মত্যাগই বাংলাদেশের সামনে নতুন সুযোগ শুরু হয়েছে এগিয়ে যাওয়ার।
পাঁচ বছর পর পর ক্ষমতা হস্তান্তর হবে কি প্রক্রিয়ায় তা নিয়েই এতদিনে কোনো ঐক্যে পৌঁছানো যায়নি। ফলে আমাদের এ নাগরিক কমিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, জনগণসহ সব রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাতীয় ঐক্য তৈরি করা।
সামান্তা আরও বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি তরুণদের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া প্ল্যাটফর্ম। আমরা সামনের দিনে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য তরুণসহ সব নাগরিককে এ প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করতে চাই। এরই মধ্যে সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে সরকার। আমরাও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত একত্রিত করে প্রস্তাবনা তুলে ধরব কমিশনের কাছে। আমরা চাই কমিশনগুলো তাদের কাজের সময় আন্দোলনরত সব শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এ কাজ করবে। যেন ঐকমত্যের মধ্য দিয়ে এসব সংস্কার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।
লিখিত বক্তব্যের পর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।