‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে শক্তিশালী কমিশন গঠন করতে হবে’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পিএম
‘২০০৯ সালে সংগঠিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে শক্তিশালী কমিশন গঠন এবং বিজিবি নাম পরিবর্তন করে সাবেক নাম বিডিআর প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্স আয়োজিত ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড : হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- জৈনপুরী মঞ্জিলের পীর ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান এ আর এম জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবু আহাদ আল মামুন, জামিয়া ইসলামিয়া মারকাজুল আজিজের সাইখুল হাদিস মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের প্রমুখ।
এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো রাজা নাই কিন্তু আমরা প্রজা হলাম কিভাবে? আমরা সংবিধানকে আমাদের রাজা বানিয়ে সেখানের আইন দিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসক তৈরি করছি। ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য বানিয়ে তাদেরকে সংসদে আমরা পাঠাই, তারা তাদের মস্তিষ্কপ্রসূত চিন্তা দিয়ে আইন বানায় এটা কুফরি। যা থেকে মুক্ত করতে হলে খেলাফত ব্যবস্থার বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারত হলো আমেরিকার এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী দেশ। সেই ভারতকে আমাদের শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে। তাদের সঙ্গে কোনো প্রতিবেশীর সম্পর্ক নেই। কারণ, তারা কোনো প্রতিবেশীর স্বার্থ রক্ষায় বিশ্বাস করে না। আমেরিকার পার্শ্ববর্তী মেক্সিকো ও রাশিয়ার সঙ্গেও দেখেন তাদের সম্পর্ক কী অবস্থা।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের নাগরিকদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে দিতে হবে যেন উপদেষ্টারা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনো দেশবিরোধী কাজ না করতে পারে। বর্তমান সংবিধানের ওপর দাঁড়িয়ে কোনো সংস্কার করা হলে সেটা আবারও ফ্যাসিবাদ কায়েমের সুযোগ পাবে।’
বক্তারা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বেশি স্থল সীমানা বিডিআর থাকাকালীন বাংলাদেশের কয়েকটি সীমান্তে ভারতের বিএসএফের সঙ্গে একাধিক যুদ্ধ হয়েছিল। সেখানে ভারতীয় বাহিনী পালিয়ে গেছে। বিডিআরের সাবেক নাম ফিরিয়ে আনলে আবারও বিএসএফ বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীদের সমীহ করবে।’