আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে উজানে বাঁধ দিয়েছে ভারত: ১২ দলীয় জোট
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা আদায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
তারা বলছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। প্রায় প্রতিটি নদীতে আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করে একপাক্ষিকভাবে ভারত উজানে বাঁধ দিয়েছে। বাস্তবতার প্রয়োজনে আমাদের সরকারকে বাংলাদেশের মানুষের ন্যায়সংগত অধিকার তথা ন্যায্য নদী ব্যবস্থাপনা ও পানির হিসাব নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ, ৫৪টি অভিন্ন নদীতে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবি, ভারতীয় পণ্য বিক্রয় বন্ধ এবং ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক’ শীর্ষক মিছিলপূর্ব সমাবেশে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন জোটের নেতাকর্মীরা।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোববার জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছেন, তাকে স্বাগত জানাই। পাশাপাশি অবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে একাধিক দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত পানি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছে। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি হিসাবে ফাঁসি দেওয়া হোক।
জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, শেখ হাসিনার পরাজয়ের বদলা নিতে তার প্রভু ভারত আগ্রাসন শুরু করেছে। তারা ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ার পর এবার ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়েছে। ভারত কখনোই আমাদের বন্ধু হতে পারে না।
এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি মাস্টার এমএ মান্নান প্রমুখ।