‘এই আন্দোলন আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ অর্জনের শামিল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম
‘সার্বভৌমত্বের জন্য বিপৎগামী আওয়ামী লীগ সরকারের জিম্মি থেকে দেশ ও জনগণ মুক্তি চায়’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।
সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যুবক ও ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাশেদ প্রধান বলেন, ‘দেশের ওপর মহাবিপদ ধেঁয়ে আসছে। দেশের জন্য আবারও রক্ত ঢালতে হবে। তাই দেশ রক্ষার প্রয়োজনে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সবাই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। মনে রাখবেন, এই আন্দোলন আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ অর্জনের শামিল।’
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর পুরানা পল্টন শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে যুব জাগপা আয়োজিত ‘ভারতীয় আগ্রাসন ও আওয়ামী আমলাদের ভয়াবহ দুর্নীতি এবং যুবকদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের বেপরোয়া দুর্নীতি, অর্থপাচার ও লাগামহীন মিথ্যাচার এবং অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার কারণে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন কালো তালিকায় রয়েছে। ভারতীয় আগ্রাসনের কারণে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একপক্ষীয় চাটুকার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে বহির্বিশ্বের সম্পর্ক তালাকপ্রাপ্ত। চীনের কাছে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছিলেন, না পেয়ে অপমানিত হয়ে সফর সংক্ষিপ্ত করে শেখ হাসিনাকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে।’
তিনি কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘কোটাপদ্ধতি সংস্কারের মাধ্যমে মেধাভিত্তিক চাকরি নিশ্চিত করতে হবে। কোটাপদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর রাষ্ট্রীয় বৈষম্য সৃষ্টি করা যেন না হয় সেজন্য শিক্ষার্থীদের চলমান দাবি মেনে নিন। ৫৬ শতাংশ অগ্রাধিকার কোটার নামে আওয়ামী কোটাপদ্ধতির কারণেই এমপি-মন্ত্রীরা দুর্নীতিগ্রস্ত এবং মেধাবীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়!’
রাশেদ প্রধান আরও বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যখন উর্ধ্বমুখী, যখন দেশের মানুষের পেটে ভাত নাই, পরনে কাপড় নাই তখন সরকারের এমপি-মন্ত্রীদের রঙ তামাশায় জাতি লজ্জিত হয়। বর্তমানে মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় সাতগুণ বেড়েছে। কর্মহীন মানুষের পরিবারে চলছে নিরব আর্তনাদ। জনজীবনে নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। অথচ সরকার ব্যস্ত ভারতীয় গোলামি করার জন্য।’
যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য দেন- জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুল, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, যুব জাগপার সহসভাপতি মাহিদুর রহমান বাবলা, মো. আলী ফকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপুল সরকার, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক জনি নন্দী প্রমূখ।