নতুন নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন: সরকারকে নুর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫২ পিএম
গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আন্দোলনের কৌশলের কোনো ধাপে হয়ত আমাদের ভুল হয়েছে, আমরা হারিনি। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। ৯৫ শতাংশ মানুষ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারকে বলব, অনতিবিলম্বে নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার-গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন।’
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড়ে ঢাকা মহানগর গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) উদ্যোগে এক গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশ শেষে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পুরানা পল্টন মোড়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, প্রেস ক্লাব হয়ে আবার পুরানা পল্টনে শেষ হয়।
‘গ্যাস, বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার, সিন্ডিকেট ও বাজার কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি হ্রাস করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসাসহ ৫ দফা’ দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেন, ‘বাস থেকে সরকারি দলের নেতাকর্মী ও পুলিশ মিলে ১ হাজার কোটি টাকা চাঁদা তোলে। যার ভাগ এমপি-মন্ত্রীসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থরা সবাই নেয়। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিরা মাদকের বিরুদ্ধে জোরাল বক্তব্য দেয় অথচ তারাই মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দেয়, সহযোগিতা করে। পুলিশ চাইলে ৭ দিনে মাদক বেচাকেনা বন্ধ হবে। কারণ, মাদক ব্যবসায়ী-সেবনকারী সবাইকে তারা চেনে।’
তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। কারণ, সিন্ডিকেটের হোতারা সরকার চালায়। চিনি আমদানি করে দেশের ৫টি প্রতিষ্ঠান। তাদের ধরলে চিনির দাম বাড়বে না। কতিপয় দুর্বৃত্ত আমদানি-রপ্তানির নামে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে, দুদক তাদের কিছু করতে পারে না।সমন্বয়ের নামে জনগণের পকেট কাটতে সরকার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বাড়াচ্ছে।’
দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়ে সরকার জনগণের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি শুরু করেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বলেছিল ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে আর ঘরে ঘরে চাকরি দিবে। কিন্তু চালের কেজি ৬০-৭০ টাকা আর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতেও ব্যর্থ হয়েছে। এই ডামি সরকারের আমলে সাংবাদিক থেকে শুরু করে কোনো পেশার মানুষ ভালো নেই। রিকসাওয়ালা, শ্রমিক, দিনমজুর সবার নাভিশ্বাস উঠেছে। এই ব্যর্থ সরকারকে জনগণ তাই আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ৭ জানুয়ারি সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ভারতের সহযোগিতায় ডামি নির্বাচন করেছে। কিন্তু জনগণ ভোট প্রত্যাখ্যান করে গণভোটে রায় দিয়েছে, তারা এই সরকারকে আর চায় না।’
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুলহক করিম শাকিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, ফাতিমা তাসনিম, সহ-সভাপতি বিপ্লব কুমার পোদ্দার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান, দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিলন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।