বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বাম জোটের বিক্ষোভ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০০ পিএম
অর্থপাচারকারীও ঋণখেলাপিদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবেশদ্বারে বিক্ষোভ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। পাচারের টাকা ফেরত ও খেলাপি ঋণ আদায় নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার ঢাকার মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে এ বিক্ষোভ করে বাম জোটের সংগঠনগুলো।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানাসহ বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবেশদ্বার প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ থাকে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ব্যাংকের টাকা লুটপাট ও অর্থ পাচারকারীদের শাস্তিসহ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
একই সঙ্গে তারা অর্থপাচারের টাকা ফেরত আনা ও জড়িতদের শাস্তি, বেনামি ঋণের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম দূর করার দাবি জানান। এসব দাবি সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন বিক্ষোভকারীরা।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সংসদে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বেড়েছে। তারা ক্ষমতায় থাকলে ব্যবসায়ী ক্রিমিনালদের পক্ষে লুটপাট চালাবে। তাদের বিরুদ্ধে বিকল্প সংগ্রামের পথ তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, আজ আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলাম। এরপর আমরা দুদক, এনবিআরের সামনে বসব। আমাদের আন্দোলন চলবে।
বরিশাল: এদিকে বরিশাল ব্যুরো জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ সোমবার বেলা ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বাম জোট। নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বর থেকে বগুড়া রোডে বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে তারা সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি কমরেড অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিমের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) জেলা শাখার সমন্বয়কারী ডা. মনীষা চক্রবর্তী।
বক্তারা বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ টাকা দিয়ে কমপক্ষে দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা না করে বা দোষীদের শাস্তির আওতায় না এনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে ও লুটেরাদের পক্ষে নগ্ন অবস্থান নিচ্ছে। তাই অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।