জাতীয় সমাজতান্তিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, দেশের ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ নির্বাচন বর্জন করায় ‘ডামি নির্বাচনে’ ‘ডামি সংসদ’ ও ‘ডামি সরকার’ গঠিত হয়েছে। জনগণের সম্মতি ও সমর্থনের ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনে অবিলম্বে ডামি সংসদ বাতিল করতে হবে। ডামি সরকারকেও পদত্যাগ করতে হবে।
শনিবার রাজধানীর উত্তরায় জেএসডির স্থায়ী কমিটির সভায় তিনি এ দাবি জানান। সভায় আরও বক্তৃতা করেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব, অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কেএম জাবির প্রমুখ।
আবদুর রব বলেন, অসাংবিধানিক চর্চার মাধ্যমে সংবিধানকে হাতের খেলনা করে, দীর্ঘস্থায়ী ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে গিয়ে রাষ্ট্র আইনগত ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। নির্বাচনি ব্যবস্থাকে সরকার ধ্বংস করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনবিহীন সংস্কৃতির মাধ্যমে রাষ্ট্র থেকে জনগণকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। গণতান্ত্রিক, নৈতিক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ না করায়, ক্ষমতাসীনদের লোভ-লালসায় সমাজটা হাতছাড়া হয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলতান্ত্রিক করতে গিয়ে ভঙ্গুর করে দেওয়া হয়েছে। এই ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠান দিয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত দেশকে পুনরুদ্ধার করা আর সম্ভব হবে না।
স্থায়ী কমিটির সভায় রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, একতরফা প্রহসনের নির্বাচনেও ভোটারদের চাপ প্রয়োগ ও ফলাফলে কারচুপির মতো ব্যাপক অনিয়মের চিত্র দেখা যায়। নির্বাচন সামনে রেখে বেপরোয়াভাবে বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ ও দমনে এবং সরকারের দুঃশাসনকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে, এমন ব্যাপক গণসমর্থনভিত্তিক দল ও জোটকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থেকে দূরে রাখার সরকারের অপকৌশল, আইনের শাসন এবং গণতন্ত্রের মূল নীতিকে দারুণভাবে ক্ষুন্ন করেছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।
বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ভয় দেখানো, মিথ্যা অভিযোগে পরোয়ানা ছাড়া বহু মানুষকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো, তথাকথিত বিচারের নামে দণ্ডিত করা এবং বিরোধী রাজনীতিক ও বিরোধী দলগুলোর সমর্থকদের ওপর পরিচালিত সহিংসতা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। এই আত্মঘাতী নির্বাচন রাষ্ট্রকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশের আর্থিক অবস্থাসহ স্থিতিশীলতা চরম হুমকির মুখে পড়েছে।