
প্রিন্ট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৭ এএম
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম

আরও পড়ুন
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান। দেশটির উত্তর পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রাজধানী ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতেও এর কম্পন অনুভূত হয়। দেশটির জাতীয় ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনএসএমসি) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর জিও নিউজের।
এনএসএমসি জানিয়েছে, শনিবার দুপুর ১২টা ৩১ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে, যার মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫ এবং গভীরতা ১২ কিলোমিটার। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল রাওয়ালপিন্ডি থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
পাঞ্জাবের অ্যাটক ও চাকওয়াল শহরগুলোতেও কম্পনের খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া পেশোয়ার, মারদান, মোহমান্দ, সোয়াবি, নওশেরা, লাক্কি মারওয়াত, লোয়ার দির, মালাকান্দ, শাবকদর শহরও কেঁপে ওঠে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
একই দিন পাপুয়া নিউ গিনির নিউ আয়ারল্যান্ড প্রদেশের উপকূলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। কোকোপো শহর থেকে প্রায় ১১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ৭২ কিলোমিটার (৪৪ মাইল) গভীরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
কোকোপো বিচ বাংলো রিসোর্টের অভ্যর্থনাকারী ইমোঙ্ক অ্যাবেলিস বলেন, ভূমিকম্পটি প্রায় এক মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। কিন্তু এলাকার আশপাশে কোনো ক্ষতি হয়নি। পাপুয়া নিউ গিনিতে ভূমিকম্প প্রায়শই হয়। কারণ দেশটির অবস্থান রিং অব ফায়ারে।
এদিকে শুক্রবার বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল চার।
তিনি আরও জানান, এর উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ১০৫ কিলোমিটার দূরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশপাশে ছিল। তারা বিষয়টি নিয়ে এখনো কাজ করছেন।
একইদিন সকালে মিয়ানমারে ফের ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ১। দেশটির জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (এনসিএস) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এনডিটিভির।
এনসিএস বলছে, ভূমিকম্পটি ১০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে। যার ফলে আফটারশকের আশঙ্কা দেখা দেয়।
এর আগে, গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার মহাশক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এরপর আরেকটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হানে দেশটিতে। দেশটিতে এক শতাব্দীর বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে শত শত বছরের প্রাচীন গির্জা ও আধুনিক ভবনও ধসে যায়।
শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে ৩৬০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ হাজারেরও বেশি। এছাড়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচে এখনও শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
ভূমিকম্পের পর সর্বপ্রথম চীন, রাশিয়া এবং ভারত সেখানে উদ্ধারকারী পাঠায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধারকারী দল মিয়ানমারে যায়। তারা ভবনের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার ও তাদের শনাক্ত করার কাজটি করছেন।