
প্রিন্ট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১২ এএম
এবার গুলজাদি বেলুচকে অপহরণের অভিযোগ

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম

আরও পড়ুন
মানবাধিকার কর্মী মাহরাং বালুচের পর এবার বেলুচ ইয়াকজেহতি কমিটির (বিওয়াইসি) সদস্য গুলজাদি বেলুচকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে।এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছে পাকিস্তানের মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া পোষ্টে বিওয়াইসি জানিয়েছে, তাদের কর্মী গুলজাদি বেলুচকে কোয়েটা থেকে পুলিশ জোর করে নিয়ে গেছে, তার অবস্থান এখনও অজানা।
শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এবং প্রতিরোধের কণ্ঠস্বরকে লক্ষ্য করে এটিকে ‘রাষ্ট্রীয় দমন’ বলে অভিহিত করে বিওয়াইসি অবৈধ আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং অবিলম্বে তার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, আমাদের কর্মী গুলজাদি বেলুচকে কোয়েটা থেকে পুলিশ ও সিটিডি কর্মীরা জোর করে ধরে নিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তার হদিস মেলেনি।
আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি আমলে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আরেকটি মানবাধিকার গোষ্ঠী, পাঙ্ক গুলজাদি বেলুচের অপহরণের ঘটনায় সংহতি প্রকাশ করেছে এবং তার জোরপূর্বক নিখোঁজের নিন্দা জানিয়েছে।
পাঙ্ক এটিকে ‘মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে।
পাঙ্ক তাৎক্ষণিকভাবে তার অবস্থান প্রকাশ করতে, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং তার নিখোঁজের জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে গত মাসের শেষের দিকে বেলুচ মানবাধিকার কর্মী মাহরাং বালুচকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, বেলুচিস্তান রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন, জোরপূর্বক গুম এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে। আয়তনে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ বেলুচিস্তান। তবে প্রদেশটি বেশ অনুন্নত। উন্নয়নের যাত্রায় পাঞ্জাব–সিন্ধুর চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে বেলুচিস্তান। প্রদেশটিতে দেড় কোটি মানুষের বসবাস।
উন্নয়নে পিছিয়ে থাকলেও বেলুচিস্তান খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। এখানে তামার খনি ও গ্যাসকূপ রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সংঘাতের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে বেলুচদের। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভিযোগ, স্বাধীনতার পক্ষে যারাই সরব হয়েছেন, রাষ্ট্র তাদের অপহরণ করেছে, নির্যাতন করেছে।
প্রায় এক দশক আগে বেলুচিস্তানে শুরু হয় ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের চীন–পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) মেগা উন্নয়ন প্রকল্প। এর ফলে সেখানকার জটিল সংঘাতময় পরিস্থিতি আরও জোরদার হয়।