ইমরান-কুরেশিকে ৪ অক্টোবর আদালতে হাজিরের নির্দেশ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৬ পিএম
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান তোশাখানা মামলায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এবার আরও বিপাকে পড়লেন তিনি। সাইফার মামলায় (গোপন কূটনৈতিক নথি) অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে একটি বিশেষ আদালত আগামী ৪ অক্টোবর কারাবন্দি ইমরান খান এবং পিটিআইয়ের ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকে তলব করেছেন।
সাইফার মামলায় দুদিন তদন্তের পর ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) পিটিআই নেতাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে।
বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন আসামিদের আদালতে তলব করার জন্য সাক্ষীদের বক্তব্যই যথেষ্ট বলে বিবাদীদের নোটিশ জারি করেন।
পিটিআই নেতাদের ৪ অক্টোবর (বুধবার) আদালতে হাজির করার জন্য আদিয়ালা জেল সুপারকে নির্দেশ দেন বিচারক।
এফআইএ চার্জশিটে বলেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং আদালতকে তাদের বিরুদ্ধে বিচার পরিচালনা করতে এবং মামলায় সাজা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, পিটিআইয়ের সাবেক মহাসচিব আসাদ উমরের নাম অভিযুক্তদের তালিকায় যোগ করা হয়নি। এদিকে, মামলায় ইমরান খানের সাবেক মুখ্য সচিব আজম খানের নাম ‘শক্তিশালী সাক্ষী’ হিসেবে রয়েছেন।
এফআইএ চার্জশিটের সঙ্গে ১৬১ এবং ১৬৪ ধারার অধীনে রেকর্ড করা আজমের বিবৃতিও সংযুক্ত করেছে। পিটিআই প্রধান নিজের কাছে সাইফার রেখেছিলেন এবং রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার অপব্যবহার করেছিলেন। সাইফারের একটি অনুলিপি ছিল কিন্তু ইমরান তা ফেরত দেননি।
এফআইএ ১৬১ ধারার অধীনে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করার পর চার্জশিটের সঙ্গে ২৮ জন সাক্ষীর একটি তালিকা আদালতে জমা দিয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, সাক্ষীদের তালিকায় সাবেক পররাষ্ট্র সচিব আসাদ মজিদ, সোহেল মেহমুদ এবং তৎকালীন অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ফয়সাল নিয়াজ তিরমিজির নামও যুক্ত হয়েছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর, বিশেষ আদালত সাইফার মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানের জামিন খারিজ করে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত জেলে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ আদালত।
তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের নিম্ন আদালত। যদিও নিম্ন আদালতের সাজার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে তাকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। তবে সাইফার মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন ইমরান খান ও শাহ মহম্মদ কুরেশি। এবার এফআইএর চার্জশিটের প্রেক্ষিতে ইমরানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়, সেটাই দেখার।
সাইফার মামলা কী?
গত বছর ইমরানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগে সরব হয়েছিলেন তিনি। তারপর সে বিষয়ের একটি নথি তিনি গত বছরের এপ্রিলে প্রকাশ্য জনসভায় দেখিয়ে বলেন, ‘এটা বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রমাণ।’ এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইমরান গোপন কূটনৈতিক নথি প্রকাশ্যে এনেছেন বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যান।