‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভায় ৭ মার্চের জনসভার মতো ঢল নামবে’
লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) ও শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২২, ০২:০৬ এএম
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনী জনসভায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের জনসভার মতো মানুষের ঢল নামবে। জনসভায় ১০, ২০ কিংবা ২৫ লাখ মানুষের সমাগমের সংখ্যা কোনো বিষয় নয়। একাত্তরের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুনতে ৭ কোটি মানুষ যেমন যুক্ত হয়েছিল, ২৫ জুন তেমনি দেশের ১৭ কোটি মানুষ যুক্ত হবে।
শনিবার বিকালে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে শিমুলিয়া ঘাট ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার ঘাটের কাছে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী মঞ্চ ও জনসভার স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ আরও জানান, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক মানুষের নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই কাজ করছে। অনুষ্ঠান সফল করতে স্থানীয় জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, সড়ক ও সেতু বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করবে।
এ সময় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া বন্দর কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাটে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল ও ঘাট এলাকা পরিদর্শনকালে নৌ পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স মাঠে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তার সেই ভাষণ শুধু রেসকোর্স মাঠেই সীমাবদ্ধ ছিল না, সাড়ে ৭ কোটি বাঙালীর হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছিল। তেমনি ৫০ বছর পরে বাংলাদেশ এমন একটি দিন উদযাপন করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় কেউ বলছে ১০ লাখ, কেউ বলছে ২৫ লাখ, কেউ বলছে ৩০ লাখ মানুষের উপস্থিতি হবে। আসলে এটা বড় বিষয় নয়। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষই সেদিন পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে যাবে। সবারই দৃষ্টি থাকবে এখানে। কাজেই এটা সংখ্যা দিয়ে নিরূপণ করা যাবে না।
নৌ প্রতিমন্ত্রী জনসভার প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগ, জেলা প্রশাসন, আওয়ামী লীগসহ সবাই সমন্বিতভাবে জনসভা সফল করতে কাজ করছে। দক্ষিণাঞ্চল থেকে যেসব লঞ্চ এখানে আসবে সেগুলো যাতে ভালভাবে ভিড়তে পারে; সে ব্যাপারে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। এ জন্য এখানে ২০টি পন্টুন বসানো হচ্ছে। পানির উচ্চতা বাড়লে যাত্রী নামাতে ট্রলারও থাকবে।
এ সময় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।