
ছয় মাস আগে কোন্ পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটেছিল, সেটা সবার জানা। এজন্য ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন আর আত্মত্যাগ ছিল নজিরবিহীন। একটি সরকার তার কৃতকর্মে ঘৃণিত হয়ে পড়লে সাধারণ ইস্যুতে গড়ে ওঠা আন্দোলনও যে দ্রুতই তার পতন ঘটাতে পারে, হাসিনা সরকারের পরিণতি তারই প্রমাণ। সরকারটি অর্থনীতিও তছনছ করে দিয়েছিল। লুটপাটে বিপর্যস্ত ব্যাংক খাত এর প্রমাণ। তার শাসনামলের তিন গভর্নরই লাপাত্তা। পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পরও এমন পরিস্থিতি দেখতে হয়নি। হাসিনা সরকারের পতনকে তাই হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। রাজনীতিতে ফিরতে চাইলে তার নিরপরাধ সমর্থকদেরও উচিত হবে এর একটা বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন করা।
হাসিনার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে, তারও ছয় মাস হতে চলল। গণতন্ত্রে ক্ষমতার যেভাবে হাতবদল হয়ে থাকে, সেভাবে ইউনূস সরকার আসেনি বলে তার কাজের মূল্যায়নও ভিন্নভাবে হবে। আমাদের দেশে নির্বাচিত সরকার পাঁচ বছরের জন্য এসে থাকে। সেক্ষেত্রেও প্রথম ছয় মাসে তার ‘পারফরম্যান্স’ বিশেষভাবে বিচার করা হয়, যদিও হাতে থাকে আরও সাড়ে চার বছর। অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ছয় মাস আরও অনেক গুরুত্ববহ। কেননা ধরেই নেওয়া হয়, এটা দীর্ঘ সময়ের সরকার নয়। তবে ইউনূস সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় অনেকে এমনও বলেছিলেন, সরকারটি দীর্ঘ সময় থেকে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার সেরে নির্বাচন দিক। এর আগে ওয়ান-ইলেভেন সরকার প্রায় দুই বছর থেকে গুরুত্ববহ অনেক সংস্কার সুসম্পন্ন না করেই বিদায় নিয়েছিল। তারা যে নির্বাচনটি করে যান, সেটির নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। ‘বহিঃশক্তি’ এতে কী ভূমিকা রাখে, তা নিয়েও কথাবার্তা কম হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতেও এমন শঙ্কা রয়েছে যে, সংস্কারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হয়ে শেষে না একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে সরকারকে বিদায় নিতে হয়!
শুধু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে ক্ষমতার হাতবদল এ মুহূর্তে একমাত্র করণীয় না হলেও নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। কিছু গুরুত্ববহ সংস্কার হয়েও শেষে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে পুরো যাত্রাটিই হয়ে থাকবে প্রশ্নবিদ্ধ। এমনও বলা হচ্ছে, সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কোনো সংস্কার না হয়ে শুধু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলেও পরবর্তীকালে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে অবশ্য সংস্কার বিষয়ে হাসিনা সরকার পতনে ভূমিকা রাখা পক্ষগুলোর ঐকমত্য লাগবে এবং পরেও সেটা অটুট থাকতে হবে। সংস্কার কমিশনগুলো যখন একে একে রিপোর্ট জমা দিচ্ছে, তখন এমন একটি সম্ভাবনা মাথায় রেখেও সরকার এগোচ্ছে মনে হয়। ‘রাজনৈতিক ঐকমত্য’ ছাড়া তারা সংস্কারের কোনো সুপারিশ বাস্তবায়নে উদ্যোগী হবেন না, এটা জানিয়েই দিয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতেই সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শুরু হওয়ার কথা। হাসিনা-পরবর্তীকালে সেটি হবে আরেক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এ প্রক্রিয়ায় স্বভাবতই অনুপস্থিত। সংস্কার সম্পর্কে তাদের কোনো বক্তব্যও মিলছে না। যে ওয়ান-ইলেভেন সরকার দ্বারা দলটি বেজায় উপকৃত হয়েছিল, তার রেখে যাওয়া সংস্কার প্রক্রিয়া অবশ্য তারা বহাল রাখেননি। বিপরীত কাজটাই বরং করা হয়েছিল সুপরিকল্পিতভাবে। পক্ষপাতহীন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার শরণাপন্ন আমরা হয়েছিলাম, সেটিও সংবিধান থেকে উচ্ছেদ করে হাসিনা সরকার। পরবর্তী তিনটি নির্বাচনই প্রমাণ-কেন তারা সেটা করেছিলেন। শুধু প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে নয়; জবাবদিহিহীন শাসনে দল, গোষ্ঠী ও ব্যক্তির আধিপত্য কায়েমই ছিল লক্ষ্য। সাড়ে ১৫ বছরে সেটাই করা হয়েছিল, যা গণঅভ্যুত্থানে চুরমার হতেও সময় লাগেনি। এ অবস্থায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সংস্কারে কোনোরকম আগ্রহ দেখাবে না, এটাই স্বাভাবিক। তারা নিজেদের পতনকে এখনো বলে চলেছে ‘জঙ্গি হামলা’র পরিণতি। ইউনূস সরকারকে অভিহিত করছে ‘দখলদার সরকার’ বলে। তাদের নাকি কোনো অধিকার নেই দেশ পরিচালনার। তিন-তিনটি ভুয়া নির্বাচন করে যারা জবাবদিহিহীন ক্ষমতার চর্চা করে যাচ্ছিল, তাদের পক্ষে এমন ব্যাখ্যাই স্বাভাবিক। তারা অবশ্য চাইছে অবিলম্বে নির্বাচন আর সেটা যেন নিরপেক্ষ হয়, এমন দাবিও জানাচ্ছে!
আমাদের রাজনীতির এই এক চিত্র-বিপদগ্রস্ত হলেই কেবল একটি দল পক্ষপাতহীন নির্বাচন চায়। ক্ষমতায় থাকাকালে তাদেরই দেখা যায় নির্বাচন ব্যবস্থাকে ত্রুটিপূর্ণ করে তুলতে, যাতে পরবর্তী মেয়াদেও ক্ষমতা ধরে রাখা যায়। এ মনোভাব থেকেই সংবিধানে ধারিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থারও অপব্যবহার শুরু হয়েছিল, যার পরিণতি কারও জন্য শুভ হয়নি। গণতন্ত্রের ন্যূনতম শর্ত তথা নির্বাচন ব্যবস্থাটাই শেষে গিয়েছিল উচ্ছেদ হয়ে। প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এ গলদ সংশোধনে সামান্যতম রাজি করাতে পারেনি হাসিনা সরকারকে। হাসিনা গং অবশ্য এখন নির্বাচনকালে ‘নির্দলীয়’ সরকারের দাবি জানাবে। তবে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ যদি এতে অংশ নিতে পারেও, তবুও মাঠে তাদের কেমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে, সে প্রশ্ন রয়েছে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফিরে আসার পথ অবশ্য সুগম হয়েছে উচ্চ আদালতের রায়ে। তবে আগামী নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে, এটাও প্রায় নিশ্চিত। এ বিষয়ে আপিল বিভাগের ‘রেফারেন্স’ও হয়তো নেওয়া হবে। দেশে এটা বিশেষ পরিস্থিতি বৈকি। এমন পরিস্থিতিতে কোনো দেশ নিপতিত হোক, সেটা অবশ্য কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিল গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তীকালে। তাদের নিরাপত্তা জোগাতে হয় সেনাসদস্যদের। আইনশৃঙ্খলা, এমনকি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এ পরিবর্তনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের। এর কিছুই ঘটত না, দেশ স্বাভাবিক ধারায় থাকলে। নব্বইয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পরও দেশটি নতুন করে স্বৈরশাসনকবলিত না হলে উল্লিখিত কোনো ঘটনাই ঘটত না। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার হাতবদল আর ন্যূনতম জবাবদিহির ব্যবস্থা থাকলেও আজকের পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। যে বিপুলসংখ্যক মানুষ আন্দোলনে নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়ে যারা ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের সবারই স্বাভাবিক জীবন কাটানোর অধিকার ছিল। এটাও ঠিক, স্বৈরশাসনে নিপতিত হয়ে মানুষ অধিকারবঞ্চিত হতে থাকলে কখনো না কখনো, কোনো না কোনো ইস্যুতে এমন গণবিস্ফোরণ ঘটেই। তাতে অভাবনীয় পরিবর্তনও ঘটে যায়।
কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন অবশ্য এখনো আসেনি; এর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে মাত্র। গত ছয় মাসে এর কতটা গ্রহণ করা হয়েছে, সে প্রশ্ন এখন জোরালোভাবে উঠবে। কেননা বর্তমান সরকারের জন্য এ সময়টুকু কম দীর্ঘ নয়। তবে কেবল সরকারেরই সুযোগটি গ্রহণের কথা নয়। যাদের সমর্থনে সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, তাদের ভূমিকাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। গত ছয় মাসে তাদের কারা কোন্ ভূমিকায় অবতীর্ণ, সে মূল্যায়নও হবে। ভূমিকায় গলদ থাকলে তা দ্রুত দূর করতে হবে তাদের। সরকারকেও প্রয়োজনীয় জায়গাগুলোয় আনতে হবে দ্রুত পরিবর্তন। কেননা এক থেকে আরেক পরিস্থিতিতে যাওয়ার এ পর্বটা বেশি দীর্ঘায়িত করার সুযোগ নেই। হাসিনা-পরবর্তী পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে আসার প্রত্যাশাও পূরণ হচ্ছে না। সেটি ঘটলে অন্তর্বর্তীকালকে কিছুটা দীর্ঘায়িত করাও কঠিন হতো না। সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজনে সরকারকে তিন বছর সময় দিতেও যারা সম্মত ছিলেন, তাদেরও অনেকে এখন চলতি বছরের মধ্যেই যতটা সম্ভব সংস্কার করে নির্বাচন অনুষ্ঠানে জোর দিচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টা যেটুকু ‘রোডম্যাপ’ দিয়েছেন, তাতেও চলতি বছরের মধ্যে নির্বাচন করার এজেন্ডা রয়েছে। ‘অধিকতর সংস্কার’ প্রশ্নে ঐকমত্য হলে অবশ্য পরবর্তী বছরের মধ্যভাগ পর্যন্ত গড়াবে। অতটা সময় নিতে না হলেও দেশে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা সামাল দিয়ে এগোনো কিন্তু কঠিন।
পুলিশকে সক্রিয় করে সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে এখনো সফল হয়নি। সাধারণ অপরাধের পাশাপাশি রাজনৈতিক সহিংসতাও নিয়ন্ত্রণে আসছে না। হালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ বছরে ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো’ সতর্কতা অবলম্বনের ওপর ড. ইউনূস যেভাবে জোর দিয়েছেন, তাতে তিনিও প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিটা। ব্যবসায়ীরাও এ বিষয়ে জোর দিচ্ছেন। শিল্পে অরাজকতা চলেছে দীর্ঘদিন। এর প্রেক্ষাপট বিগত সরকারের আমলে সৃষ্টি হলেও অন্তর্বর্তী সরকারকে তা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এমনিতেই কর্মসংস্থান পরিস্থিতি খারাপ; তার ওপর দুর্নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলে বেকারত্ব আরও বাড়ছে। মূল্যস্ফীতিতে মানুষ আগের মতোই জেরবার হচ্ছে বললে ভুল হবে না। শীত শেষে বিদ্যুৎ পরিস্থিতিও কতটা অনুকূলে থাকে, কে জানে। বোরো মৌসুম সফল করা না গেলে খাদ্য নিরাপত্তা ধরে রাখাও কঠিন। রদবদল কম হয়নি; তা সত্ত্বেও টানা দলীয়করণের শিকার জনপ্রশাসনকে সক্রিয় করতে না পারাতেও কোনো কাজেই গতি আনতে পারছে না সরকার। এ অবস্থায় সমালোচনা বেড়েছে উপদেষ্টা পরিষদের। অল্প সংযোজন বাদে এতে বড় কোনো বদল আনতে পারেনি সরকার। এ ‘সংস্কার’ কিন্তু ছিল সবচেয়ে জরুরি।
এদিকে মাঠে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো পরিবর্তনের ধারা সংহত করতে ঐক্য ধরে রাখতে পারছে কিনা, প্রশ্ন উঠেছে। হাসিনার পতনে যারা বড় ভূমিকায় ছিল, তাদের ভেতর থেকে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। একটি দলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগও কম নয়। এদিকে, নিবন্ধটি লেখার আগের দিন রাজধানীর একটি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে প্রায় ছয় ঘণ্টা রেলপথ অবরোধের মতো ঘটনা ঘটল। সরকার শুরু থেকে এসব প্রশ্নে কঠোর নীতিগত অবস্থান না নেওয়াতেও এমন প্রবণতা উৎসাহিত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ বাড়ছে, এমনকি সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে। অতীত নিয়েও তিক্ত বিতর্ক হচ্ছে। ওদিকে, একটি আঞ্চলিক শক্তি এখানে সৃষ্ট পরিবর্তনকে গ্রহণ না করে এখনো নিয়ে আছে নেতিবাচক অবস্থান। সেখানে আশ্রিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তৎপরতাও অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে যোগ করছে নতুন মাত্রা। তিনিসহ যারা গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত, তাদের বিচারিক কার্যক্রমও দ্রুত এগোচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এটা সম্পন্ন হবে বলে মনে হয় না। নির্বাচিত সরকারের জন্যও সেটা চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে। সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারেও চাপ থাকবে তাদের ওপর। সেটা কার্যকর গণতন্ত্রে বিশ্বাসীদের প্রত্যাশাও বটে।
এ অবস্থায় দ্রুত নির্বাচনের দাবিটাই হচ্ছে জোরদার। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হলে এবং তার আগে ‘অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার’ বিষয়ে অঙ্গীকারপত্র গৃহীত হলে সেটাও কম অগ্রগতি বলে বিবেচিত হবে না। তবে নির্বাচনের জন্য জরুরি কিছু সংস্কার করতেই হবে ইউনূস সরকারকে। এর পরবর্তী নির্বাচনগুলো বোধহয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই করার ব্যবস্থা হবে। সেটাও অচিরেই স্পষ্ট হওয়ার কথা। এ অবস্থায় পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব বলে অনেকে মনে করছেন। দ্রুত নির্বাচন এবং সুনির্দিষ্ট মেয়াদের সরকার প্রয়োজন অর্থনীতিতে সৃষ্ট স্থবিরতা কাটানোর জন্যও। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও উপযুক্ত বার্তা দেওয়া প্রয়োজন। নির্বাচন ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকারের ভেতর দিয়ে সংস্কারের পথেই থাকবে দেশ-এটাই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বার্তা।
হাসান মামুন : সাংবাদিক, কলামিস্ট