কারফিউ শিথিলে রাজধানীতে কমছে পণ্যের দাম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
ফাইল ছবি
কারফিউ শিথিল থাকায় বাজারে সব ধরনের পণ্যের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। এতে খুচরা পর্যায়ে কমতে শুরু করেছে দাম। ৩ দিন আগে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ ১৮০-২০০ টাকায় নেমেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে কেজিতে ১০-২০ টাকা। সবজির দামও কমছে। কমতির দিকে মাছের দামও। এদিকে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও এখনও সব ধরনের চাল, ডিম ও আলু বিক্রি হচ্ছে সেই বাড়তি দরেই।
শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, যা ৩ দিন আগেও ৮০ টাকা বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা আগে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ৩ দিন আগেও ৭০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি শসা আগের মতো ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কচুর মুখি প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা, যা আগে ১০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। আগের মতোই প্রতি কেজি টমেটো ২০০-২২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারভেদে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। যা ৩ দিন আগেও ১২০-১৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছিল। বাজারে প্রতি কেজি গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা। শুক্রবার প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ১৮০-২০০ টাকায়। যা বাজার ভেদে ৩ দিন আগে প্রতি কেজি ৪০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বিক্রেতারা আরও জানান, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ১৫৫-১৬০ টাকা বিক্রি হয়। আর ১০ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা। এ ছাড়া রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সরু চালের মধ্যে মিনিকেট চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। মাঝারি আকারের চালের মধ্যে পাইজাম ও বিআর ২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৬০ টাকা। মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা। যা আগে ৪৮-৫২ টাকায় বিক্রি হয়।
কাওরান বাজারে সবজি কিনতে আসা আল আমিন বলেন, কয়েক দিনের তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ অনেক বেশি। দামও কমেছে। ফলে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে বাজারে সরবরাহ থাকলেও চাল, ডিম, আলু বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে।
একই বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহ আলী মিয়া বলেন, কারফিউতে সবজির সরবরাহ কম ছিল। শিথিলের কারণে সরবরাহ বেড়েছে। তাছাড়া ট্রাকের ভাড়া বেড়েছিল। তা এখন কমছে। সব মিলে সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কমতে শুরু করেছে।
কাওরান বাজারের আলাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির অজুহাতে মিলাররা সব ধরনের চালের দাম বাড়িয়েছে। এর মধ্যে এখনও ট্রাক ভাড়া অনেক বেশি। যে কারণে চালের দাম কমছে না।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা। যা আগে ২০০-২১০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা; যা আগে ৩০০-৩২০ টাকা ছিল। এ ছাড়া আগের মতোই প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকায় ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে ১ কেজি আকারের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ টাকা। প্রতি কেজি রুই ৩৮০-৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৬০ টাকা, কাঁচকি ৫০০ টাকা, কই ২০০-২৪০ টাকায়, চিংড়ি ৭০০ টাকা, দেশি টেংরা ৮০০ টাকা এবং পাবদা ৪৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।