নতুন শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩১ পিএম
আলোচিত নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানিয়ে নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রয়োজনে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়নে যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয়, আমরা তাতে পরিবর্তন আনব। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের পদ্ধতিতেও যদি বেশি চ্যালেঞ্জ আসে, প্রয়োজনে সেখানেও পরিবর্তন আসতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর শুক্রবার রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় নতুন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ইরাব) নেতারা।
শিক্ষামন্ত্রী ইরাবের সদস্যদের সঙ্গে নতুন কারিকুলামসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। এ সময় তিনি নতুন শিক্ষা কারিকুলামে যেখানে সমস্যা আছে তা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন।
চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে দ্বিতীয়বার তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ২০১৮ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। পরে তাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী করা হয়। তবে উপমন্ত্রী হিসেবে তিনি মন্ত্রণালয়ের কাজে খুব একটা ভূমিকা রাখতে পারেননি বলে জানা যায়। এবার তাকে ওই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়নে এক জায়গায় শতভাগ স্থির বা স্থায়ী থাকতে হবে এমন কিছু নয়। আলোচনা সাপেক্ষে নানা দিক পরিবর্তন আসতে পারে। এই নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমাদের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে আমরা সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করব।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব পেয়েই তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নজর দিতে চান নওফেল। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নতুন সরকারের নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করব। আমরা কর্মসংস্থানের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি। স্মার্ট বাংলাদেশে, স্মার্ট জেনারেশনের (প্রজন্ম) জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থান সংশ্লিষ্ট যত দক্ষতা আছে, সেগুলো আমরা আমাদের কারিকুলামে নিয়ে আসতে চাই। এতে করে আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে নিজেদের শিক্ষা বিষয়ে পরিকল্পনা সাজাতে পারবে। মূলত কর্মসংস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা নিজেরাও পুরো শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে চাই।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তিনবারের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদ চট্টলাবীর খ্যাত প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান।
নওফেল ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সর্বকনিষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন। তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নওফেল। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান।