সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১০:৪৮ পিএম
বৃহস্পতিবার বহুলপ্রতিক্ষীত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সকাল ১০টায় গণভবন থেকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থাকবে গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, রংপুর জেলা প্রশাসন ও সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস।
এদিকে সোমবার চার শ্রেণিকে বিবেচনায় নিয়ে সর্বজনীন পেনশন বিধিমালা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সর্বজনীন পেনশন বিধিমালায় পৃথক চারটি স্কিম রাখা হয়েছে। এগুলো হলো প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রগতি স্কিম, স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম এবং স্বকর্মে নিয়োজিত স্বল্প-আয়ের নাগরিকদের জন্য সমতা স্কিম। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ ও নিু-আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ শীর্ষক কর্মসূচি চালু করা হবে।
এর আগে ২৪ জানুয়ারি সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩’ পাশ হয়। বিলে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সি সব নাগরিকের নির্ধারিত হারে চাঁদা পরিশোধ করে ৬০ বছর পূর্তির পর আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করার বিধান রাখা হয়। এছাড়া বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সিরাও এ আইনের আওতায় নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা পরিশোধ করে পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে স্কিমে অংশগ্রহণের তারিখ থেকে নিরবচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন, সে বয়স থেকে আজীবন পেনশন প্রাপ্য হবেন। আজীবন বলতে পেনশনারের বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত বিবেচনা করা হয়েছে।
সূত্র বলছে, পেনশন কর্মসূচি চালুর আগে পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) হবে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের। এগুলো হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেড। এসব এমওইউ-এর খসড়ার কাজ সমাপ্তির পথে।