বিদেশি জেলেদের সুবিধা বন্ধে মাছ ধরার সময়সীমা পুনর্বিন্যাস: ফরিদা আখতার
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিদেশি জেলেদের সুবিধা বন্ধে মাছ ধরার সময়সীমা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশে যখন মাছ ধরা বন্ধ থাকে, তখন প্রতিবেশী দেশের জেলেরা সেই সুযোগে মাছ ধরে নিয়ে যেত। এজন্য এবার সময় কমিয়ে ৬৫ দিনের পরিবর্তে ৫৮ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক ও কারিগরি দলের সুপারিশ অনুযায়ী এ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে আমাদের মাছের প্রজননও হয় এবং বিদেশি জেলেরা সুবিধাও না পায়।
বৃহস্পতিবার সকালে দেশের অন্যতম আধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও পাইকারি বাজার নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে গড়ে উঠছে দেশের অন্যতম আধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও পাইকারি বাজার। জাইকার সহায়তায় ২৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এই প্রকল্প শুধু জেলেদের জন্য নয়, পর্যটকদের জন্যও হয়ে উঠবে অন্যতম আকর্ষণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর পশ্চিম তীরে, ৩.৭০ একর জমির ওপর। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, এটি শুধু অবতরণ কেন্দ্র নয়—একটি আধুনিক ফিশহাব। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাছ অবতরণ, সংরক্ষণ, বিপণন ও রপ্তানি সুবিধাসহ এখানে থাকবে পর্যটনবান্ধব অবকাঠামো।
তিনি আরও বলেন, এ কেন্দ্রে মাছের অপচয় কমবে, বিপণন হবে স্বচ্ছভাবে। আর দৃষ্টিনন্দন নকশার কারণে এটি পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাপানের রাষ্ট্রদূত স্যাইদা শিনিচি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুর রউফ, জাইকার বাংলাদেশ প্রধান ইচিগুচি টামোহাইদ, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএফডিসি চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএফডিসি)। আন্তর্জাতিক অংশীদার হিসেবে রয়েছে জাইকা (Japan International Cooperation Agency)।
