
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩০ এএম
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ার আহ্বান ইয়াংওয়ান প্রধানের

ইউএনবি
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে ইয়ংওয়ান কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) ও টেক্সটাইল খাতের অগ্রদূত কিহাক সাং সোমবার সফররত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশকে তাদের ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী
সরকার বিনিয়োগকারীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সত্যিকার
অর্থেই আন্তরিক উল্লেখ করে তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা বাংলাদেশের
এই নতুন প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখতে পারেন।’
কিহাক সাং বলেন,
অতীতে অনেক সরকার সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু
বর্তমান প্রশাসন খুবই কার্যকরভাবে কাজ করছে।
তিনি বিদেশি
বিনিয়োগকারীদের আনোয়ারায় কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে (কেইপিজেড) বিনিয়োগের
আহ্বান জানান।
জমি সংক্রান্ত
বিরোধের কথা উল্লেখ করে কিহাক সাং বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময় পার করেছি এবং নতুন অন্তর্বর্তী
সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখন পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেছে।’
বিনিয়োগকারীদের
বাংলাদেশে বিনিয়োগের উৎসাহ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশকে খুব ভালোবাসি।’
প্রধান উপদেষ্টার
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া,
ভারত এবং নেদারল্যান্ডসের প্রায় ৭০ জন বিনিয়োগকারী কেইপিজেড পরিদর্শন করেছেন এবং
সেখানকার কার্যক্রম দেখেছেন।’
কিহাক সাং এবং
ইয়াংওয়ান বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর সাদাত আনোয়ারার কেইপিজেডে সফররত বিদেশি
বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানান।
কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন, বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও পোশাক খাতের অগ্রদূত ইয়ংওয়ান করপোরেশনের নির্মিত
ও পরিচালিত কেইপিজেড শিল্প উন্নয়ন ও টেকসই উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী সর্বোত্তম চর্চার
প্রতিফলন ঘটায়।
এই অঞ্চলটি
উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্প উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এখানে ৭ মিলিয়ন বর্গফুট এলাকাজুড়ে
৪৮টি গ্রিন-সার্টিফাইড কারখানা রয়েছে এবং এখানে উন্নত লজিস্টিক্স ও ওয়ারহাউজিং সুবিধাও
রয়েছে।
কেইপিজেড কর্ণফুলী
টানেল হয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের ড্রাইভে
কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে অবস্থিত।
ডিপিএস আজাদ
বলেছেন, কেপিজের ৫২% জমি সবুজ অঞ্চল এবং জলাশয়ের জন্য নির্ধারিত, যেখানে বিপুল পরিমাণ
গাছ লাগানো হয়েছে।
কিহাক সুং বলেছেন,
কেইপিজেড-এ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম তন্তু উৎপাদন কারখানা রয়েছে, যা ২ মিলিয়ন
বর্গফুট এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এবং টেকসই উৎপাদন নিশ্চিতে সব কারখানায় বর্জ্য পানি শোধনাগার
প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার থেকে
শুরু হওয়া বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনের অংশ হিসেবে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চট্টগ্রাম
সফর করছেন। কেইপিজেডের সুযোগ-সুবিধা দেখে তারা মুগ্ধ হয়েছেন। বিনিয়োগকারীরা চট্টগ্রামের
মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।