
প্রিন্ট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪২ পিএম
চীন-বাংলা শীর্ষ বৈঠকে যে অজানা তথ্য প্রকাশ করলেন শি জিনপিং

মোবায়েদুর রহমান
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

অনেক দিন আগের কথা। সময়টা ছিল পাকিস্তান আমল। সম্ভবত ১৯৫৮ সাল। জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খান সারা পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করেছেন। তখন বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিল। নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত হন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজম খান। জেনারেল আজম খান ছিলেন অত্যন্ত অমায়িক এবং মিশুক ব্যক্তি। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের কিছু দিন পরেই সারা পূর্ব পাকিস্তান সফর করেন। এ সফরে তিনি সাধারণ মানুষ অর্থাৎ আমজনতার সঙ্গে মিশে যান। সবার খোঁজখবর নেন এবং প্রান্তিক জনতার সঙ্গে মিশে যান। প্রান্তিক জনতাও দূরদূরান্ত থেকে আসেন তার সঙ্গে মুসাবিদা করতে, অর্থাৎ হাতে হাত মেলাতে। একজন বলিষ্ঠ ফিগারের মানুষ হিসাবে শত শত মানুষের সঙ্গে তিনিও হাত মিলিয়ে আনন্দ পেতেন। সাবেক পূর্ব পাকিস্তানে এসে তিনি এখানকার সাধারণ মানুষকে ভালোবেসেছিলেন। যখনই কোনো সমাবেশে তিনি বক্তৃতা করতেন, তখনই তিনি তাদের সম্বোধন করতেন এই বলে, ‘আমার চাষী ভাই, আমার জেলে ভাই’। পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক আজম খান বাঙালিদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠলেন আমার চাষি ভাই, আমার জেলে ভাই হিসাবে।
অনেক দিন পর একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটল। তখন পূর্ব পাকিস্তান হয়ে গেছে স্বাধীন বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রথমে উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক, তারপর সামরিক আইন প্রশাসক এবং অবশেষে রাষ্ট্রপতি হন। তিনিও খালকাটা কর্মসূচি নিয়ে সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরে বেড়ান। এবং এভাবে তিনি বাংলাদেশের জনগণের কাছে দারুণভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই প্রান্তিক জনগণ তার সঙ্গে হাত মেলানো অর্থাৎ মুসাবিদা করার জন্য দলে দলে ছুটে আসেন।
কথায় বলে, History repeats itself, অর্থাৎ ইতিহাস নাকি চক্রাকারে ঘোরে। চক্রাকারে ঘুরে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখলাম ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে। এ জামাতেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নামাজ শেষে দেখলাম এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। নামাজ পড়া শেষে হাজার হাজার মানুষ ড. ইউনূসের একটুখানি সান্নিধ্য পেতে চান। হাজার হাজার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ড. ইউনূসের হাতের একটু পরশ পেতে। আর ড. ইউনূসও যতদূর পারছেন হাত মেলাচ্ছেন। কিন্তু তিনি তো ৮৪ বছর অর্থাৎ অশীতিপর এক বৃদ্ধ। তারপরও স্ট্রং অ্যান্ড স্টাউট। যতদূর তার শরীর এবং এনার্জিতে কুলায়, ততদূর তিনি হাত মিলিয়ে চলেছেন।
এ হলো বর্তমান বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অবস্থান। একথা সম্ভবত নির্দ্বিধায় বলা চলে, বর্তমানে বাংলাদেশে তিনিই সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। তাই গত দুই সপ্তাহ হলো ফেসবুকে ইউনূসের পক্ষে স্ট্যাটাস দেওয়ার জোয়ার, আগামী ৫ বছরের জন্য ইউনূসকে ক্ষমতায় দেখতে চাই। এটি হলো নেটিজেনদের দাবি। তবে এ দাবি নিয়ে আজ আমি আলোচনা করছি না। আজ আমার আলোচনার উপজীব্য হলো প্রধান উপদেষ্টার সফল চীন সফর।
গত ৩০ মার্চ ২/৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর নিয়ে সম্পাদকীয় বা উপসম্পাদকীয় লেখা হয়েছে। এদের মধ্যে দু-একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি রয়েছেন। এরা ছদ্মবেশী আওয়ামী ঘরানার লোক। একজন তো শিরোনামই দিয়েছেন, যতখানি আশা ছিল, এ সফরে প্রাপ্তি ততখানি নয়। সূক্ষ্মভাবে ইউনূসের সফল সফরকে আন্ডারমাইন করার কী ব্যর্থ প্রয়াস! তাদের বলি, তার এ সফর শুধু সফল নয়, তার এ সফর, ইংরেজিতে যেটিকে বলা হয় Grand Success, ঠিক তাই। কেন, সেটি বলছি।
প্রথমেই যে বিষয়টি অনেক পর্যবেক্ষকের নজর কেড়েছে সেটি হলো, ইউনূসকে চীনা প্রেসিডেন্টের রিসিভ করার ধরন। তাদের বৈঠকটি নির্ধারিত ছিল চীনের গ্রেট হলে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অতীতের সব প্রটোকল ভেঙে গ্রেট হলের দরজার বাইরে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। যখন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গাড়ি থেকে নামেন, তখন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজে তাকে শুধু অভ্যর্থনাই জানাননি, তাকে জড়িয়ে ধরে গ্রেট হলের ভেতরে নিয়ে যান। দ্বিতীয় যে বিষয়টি পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, সেটি হলো, ফটোসেশন। চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাধারণত গ্রুপ ফটো তোলেন না। কেন তোলেন না, সেটি তিনিই জানেন। কিন্তু ড. ইউনূসের ক্ষেত্রে তিনি এর ব্যতিক্রম ঘটান। তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে গ্রুপ ফটো তোলেন।
২.
আরেকটি বিষয় অনেকের নজর এড়িয়ে গেছে। আর এটিই হলো তার সফরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক। দুই দেশের দুই নেতা যখন তাদের টিমসহ আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেন, তখন সাধারণত তারা আলোচনার বিষয়ের পয়েন্টগুলো তাদের নোট বইয়ে টুকে রাখেন। তেমনি আলোচনার এক পর্যায়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার নোট বই বন্ধ রেখে আলোচনার বাইরে এমন একটি তথ্য প্রকাশ করেন, যেটি সবার অজানা ছিল। তিনি বলেন, যখন তিনি ফুজিয়ান প্রদেশের গভর্নর ছিলেন, তখন তিনি প্রফেসর ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণের কথা শোনেন। অতঃপর তিনি এ ব্যাপারে আগ্রহী হন এবং ক্ষুদ্রঋণ সম্পর্কিত লিটারেচার গভীরভাবে অধ্যয়ন করেন। এ স্কিমটি তিনি ফুজিয়ান প্রদেশে চালু করার চিন্তা-ভাবনা করছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট হওয়ায় সেই কাজটি আর করে আসতে পারেননি।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এ ঘটনার সঙ্গে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন এবং তার পত্নী হিলারি ক্লিন্টনের ঘটনা অদ্ভুতভাবে মিলে যায়। ড. ইউনূস গত সেপ্টেম্বর মাসে যখন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্ক যান, তখন বিল ক্লিনটন তার সম্মানে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সেই অনুষ্ঠানে বিল ক্লিনটন ইউনূসের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণ করেন। বলেন, তিনি যখন আমেরিকার অন্যতম অঙ্গরাজ্য আরকানসাসের গভর্নর ছিলেন, তখন তিনি ক্ষুদ্রঋণের বিষয়ে অবগত হন। এরপর এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য ড. ইউনূসকে আরকানসাস সফরের আমন্ত্রণ জানান। সে অনুযায়ী ড. ইউনূস আরকানসাস গমন করেন এবং তৎকালীন গভর্নর বিল ক্লিনটনের সঙ্গে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিল ক্লিনটন অতঃপর সীমিত পরিসরে আরকানসাসে ক্ষুদ্রঋণ স্কিম চালু করেন। এভাবে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সূত্রপাত হয় এবং ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও সেই বন্ধুত্ব অটুট থাকে এবং আজ সেই বন্ধুত্বের আবেশ সমগ্র ডেমোক্রেটিক পার্টিতে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি রিপাবলিকান পার্টিরও একটি অংশ ড. ইউনূসের অনুরক্ত হয়ে পড়েছেন।
তাই দেখা যাচ্ছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুধু বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবেই ড. ইউনূসকে বহন করার জন্য বিশেষ বিমান পাঠাননি, বরং এখন বোঝা যাচ্ছে, ইউনূসের বিরল প্রতিভার প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসাবেই তিনি ওই বিশেষ বিমান পাঠিয়েছিলেন।
৩.
যারা ইউনূসের এ সফরকে কিছুটা খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছেন, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেষবার চীন সফর করেন, তখন চীন তাকে অর্থনৈতিক সাহায্যের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার পরিমাণ ছিল মাত্র ১৪ কোটি ডলার। আর এবার ড. ইউনূসকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তার পরিমাণ হলো ২১০ কোটি ডলার, অর্থাৎ ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। আরও কিছু সাহায্য আছে, সেগুলো পরে বলছি। প্রিয় পাঠক, খেয়াল করুন, ড. ইউনূস রাষ্ট্রের দায়িত্বে আছেন মাত্র সাড়ে ৭ মাস। আবার তিনি ঘোষণা করেছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী জুনের মধ্যে তিনি নির্বাচন দেবেন এবং দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাবেন। অর্থাৎ যদি সর্বশেষ জুনেও নির্বাচন হয়, তাহলে তিনি দায়িত্বে আছেন আর মাত্র ১৫ মাস। আর যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়, তাহলে তিনি দায়িত্বে আছেন আর মাত্র ৯ মাস। যার মেয়াদ এত সংক্ষিপ্ত, সেটা জেনেও তাকে ২১০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আবার ৭৫০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে অনুদান হিসাবে। (উল্লেখ্য, ১ হাজার মিলিয়নে হয় ১ বিলিয়ন)। এখানেই আকাশ-পাতাল পার্থক্য শেখ হাসিনা এবং ড. ইউনূসের মধ্যে।
৪.
ড. ইউনূসের চীন সফরের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ড. ইউনূস উভয় রাষ্ট্রনায়কই এক কণ্ঠে বলেছেন, আগামী ৫০ বছরে চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে তার ভিত্তি রচনা করল এ সফর। উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০২৫ সালে চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ৫০ বছরে উন্নীত হলো। বিগত সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশ-ভারতের করদরাজ্য বা আশ্রিত রাজ্য হিসাবে ভারতের সেবা করেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতের সেবাদাসত্ব থেকে মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ প্রকৃত স্বাধীন দেশ হিসাবে শির উঁচু করে চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করল। এ বন্ধুত্বের ভিত্তি হবে সেই কূটনৈতিক পরিভাষার Sovereign equality বা সার্বভৌম সমতা।
এ সফরে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের নদীশাসন। শুধু তিস্তা নদী নয়, শুধু ৫৪টি ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদী নয়, বরং বাংলাদেশের ১২৩টি নদীর পানি কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়, সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে চীনের বিপুল অভিজ্ঞতা থাকায় ড. ইউনূস প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে এ ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য তাকে অনুরোধ করেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নির্দেশে পরদিন চীনের পানিসম্পদমন্ত্রী ড. ইউনূসের সঙ্গে যে বৈঠক করেন, সেই বৈঠকে চীনের শ্রেষ্ঠ পানি বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ জানায়, তিস্তার শুধু পানি বৃদ্ধি নয়, তিস্তাকে ঘিরে সন্নিহিত সব অঞ্চলে যেন একটি জনপদ গড়ে ওঠে, সেভাবে তিস্তা প্রকল্প রচনার জন্য বাংলাদেশ আহ্বান জানায়।
বাংলাদেশের ব্যাপক শিল্পায়ন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট বা এফডিআই হিসাবে বিনিয়োগ করার জন্য অন্তত ১৩০ জন চীনের শ্রেষ্ঠ শিল্পপতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মুখে না বললেও বাংলাদেশ চায় স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে ভারতের ওপর থেকে নির্ভশীলতা কমানো। এজন্য চীনের কুনমিং প্রদেশের চারটি হাসপাতাল বাংলাদেশিদের জন্য ডেডিকেট করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চীন একটি বড় সর্বাধুনিক হাসপাতাল গড়ে তোলার প্রস্তাবেও সম্মতি জানিয়েছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, বাংলাদেশ থেকে কুনমিংয়ের দূরত্ব ২ ঘণ্টার বিমানযাত্রা। ঢাকা থেকে চেন্নাই বা দিল্লি যেতেও ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট সময় ব্যয় হয়।
ইংরেজিতে বলা হয়, Last but not the least. অর্থাৎ শেষ কথা কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বহীন নয়। সেটি হলো, চীনে ভাষণ দানকালে ড. ইউনূস তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কিছুটা উন্মোচন করেছেন। বলেছেন, নেপাল, ভুটান, ভারতের ৭ রাজ্য, বাংলাদেশ এবং আরাকান (বর্তমানে রাখাইন) নিয়ে একটি অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক বা যে কোনো ধরনের জোট গঠন করা যায়। তাহলে চীন এসব দেশে রপ্তানি করতে পারবে এবং বঙ্গোপসাগরে ঢুকতে পারবে। তবে মাঝখানে ছোট্ট একটি বাধা রয়েছে। সেটি হলো, ৩০ কিলোমিটারের চিকেন নেক বা শিলিগুড়ি করিডর। এ করিডর ব্যবহারের পারমিশন দিলেই ড. ইউনূসের স্বপ্ন সফল হয়। ফলে এ ১০টি দেশের সঙ্গে (এর মধ্যে ভারতের সেভেন সিস্টার্স রয়েছে) চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠবে। বাংলাদেশের রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরে যাবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, এর মধ্যে রয়েছে একটি বিরাট স্ট্র্যাটেজিক সিগনিফিক্যান্স। সেই আলোচনা বারান্তরে।
মোবায়েদুর রহমান : সিনিয়র সাংবাদিক