প্রাক-বাজেট আলোচনা: সিগারেটের মূল্যস্তর তিনটি করার প্রস্তাব ‘আত্মার’

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৪ পিএম

সিগারেটের চারটি মূল্যস্তরের পরিবর্তে তিনটি স্তর এবং মূল্য বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। পাশাপাশি অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের (আত্মা) তামাক কর কাঠামো সংস্কারে অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ প্রস্তাব দেওয়াকে সাধুবাদ জানান তিনি।
মঙ্গলবার এনবিআর কার্যালয়ে ‘আত্মার’ সঙ্গে প্রাক বাজেট (২০২৫-২৬) আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ওই বৈঠকে আত্মার পক্ষ থেকে বলা হয়, সিগারেটে চারটি মূল্যস্তর (নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম) থাকায় তামাক কর ও মূল্য পদক্ষেপ সঠিকভাবে কাজ করছে না। বিশেষ করে নিম্ন এবং মধ্যম স্তরের সিগারেটের দাম কাছাকাছি হওয়ায় ভোক্তা যেকোনো একটি স্তরে সিগারেট বেছে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এ দুইটি স্তর একত্রিত করে সিগারেটে মোট তিনটি মূল্যস্তর নির্ধারণের দাবি জানানো হয়।
ওই বৈঠকে আসন্ন বাজেটে আত্মার পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরমধ্যে নিম্ন ও মধ্যস্তর মিলে একটি স্তর করে প্রতি ১০টি সিগারেটের খুচরা মূল্য ৯০ টাকা, উচ্চ স্তরের প্রতি ১০টি সিগারেট ১৪০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা এবং প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০টি সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৯০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। এ তিনটি স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৭ শতাংশ বহাল রাখার কথা বলা হয়।
এছাড়া ফিল্টারবিহীন ২৫টি বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০টি বিড়ির মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এছাড়া প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৫৫ টাকা এবং ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এছাড়া সব তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়।
সেখানে আরও বলা হয়, আসন্ন বাজেটে প্রস্তাবিত তামাক কর সংস্কার বাস্তবায়ন করা হলে ২০ (বিশ) হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে।
প্রাক-বাজেট বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আত্মার প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠের সিটি এডিটর কাওসার রহমান, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান, আত্মার কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন এবং কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী।