Logo
Logo
×

জাতীয়

কাঠগড়ায় কাঁদলেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ১২:০৯ পিএম

কাঠগড়ায় কাঁদলেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান

বড় ছেলে হাসিবুর রহমান খানের সঙ্গে পাঁচ মাস দেখা নেই, এই কথা বলতে বলতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। 

সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে শুনানি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।পরে বাড্ডা থানার রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

এদিন সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটের দিকে শাজাহান খানকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। তখন তিনি আইনজীবীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করেন। পরে তার উপস্থিতিতে ১০ টা ৮ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। 

শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান বাদশা বলেন, শাজাহান খান আটবারের সংসদ সদস্য ও দুই বারের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ঐতিহ্যগতভাবে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান৷ এর আগে তাকে দুইবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বয়স ৭৬ বছর। রোজা মধ্যে রিমান্ডে নিলে হয়রানি হবে, ফের অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তাই রিমান্ড নামঞ্জুর করা হোক। 

রিমান্ড শুনানি চলাকালে ১০ টা ২৭ মিনিটে শাজাহান খান বলেন, মাননীয় আদালত আমি কথা বলতে চাই। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন তিনি। 

এ সময় তিনি বলেন, আমি জড়িত না। কেন এই মামলা হলো? শুধু আমার বিরুদ্ধে না, আমার বড় ছেলে হাসিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। তখন কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে পাঁচ মাস আমার দেখা নেই। 

তখন বিচারক বলেন, আপনার বিষয়ে আইনজীবী কথা বলেছেন। তবুও শাজাহান খান দুই হাত জোর করে কথা বলার জন্য সময় চান। 

তিনি বিচারকের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার কথা শুনতে হবে, আমাকে একটু সময় দেন। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু দিয়ে দুই চোখ মুছতে থাকেন। শুনানি শেষে আদালত তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ১০ টা ৪০ মিনিটে হেলমেট, বুলেট প্রুভ জ্যাকেট ও হাত কড়া পরিয়ে আদালত থেকে বের করা হয়।

হাজতখানায় নেওয়ার সময় তিনি বলেন, পুলিশ বলছে কথা বলা নিষেধ। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। আমি সারাজীবন কথা বলে এসেছি, কথা বলেই যাব। পরে হাসতে হাসতে তিনি হেঁটে হাজতখানায় যান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম