নির্বাচন কমিশন হাসিনার মাফিয়াতন্ত্র জারি রাখছে: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০৫ এএম

সরকার চিহ্নিত লুটপাটকারী, পাচারকারী, গণহত্যাকারী এবং তাদের দোসরদের বিচার করা দূরে থাক, অনেক ক্ষেত্রে তাদের আগের চেয়ে ক্ষমতাবান করেছে, প্রমোশন দিচ্ছে। প্রমোশন পেয়ে তারা আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে লুটপাট ও পাচারের ব্যবস্থা করছে। অভ্যুত্থানের কোনো কোনো শক্তিও তাদের এসব ফাঁদে পড়েছেন। আর নির্বাচন কমিশন হাসিনার মাফিয়াতন্ত্র জারি রাখছে।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ব্যাংক লুটেরা এবং পাচারকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য স্পেশাল অর্থনৈতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন, দল নিবন্ধনে স্বৈরতান্ত্রিক আইনের সংস্কার, কৃষি পণ্যের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ, ধর্ষণ, মব সন্ত্রাস বন্ধ এবং সংবিধান সংস্কার সভা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই সঙ্গে করার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান বক্তা রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, সরকার এবং প্রভাবশালীদের একটি অংশ আবারো দেশে লুটপাট ও পাচার শুরু করেছে। সচিবালয়ে এবং সচিবালয়ের বাইরে শতশত কোটি টাকার লেনদেনের খবর শোনা যাচ্ছে। লুটপাট, পাচার চালালে সরকার, রাষ্ট্র, রাজনৈতিক দল কখনো দেশের মানুষের পক্ষে কাজ করতে পারে না।
দলের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচন কমিশন আগের আইনে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের ঘোষণা দিয়ে হাসিনার মাফিয়াতন্ত্র জারি রাখছেন। যে আইনে একটা দলকে নিবন্ধনের জন্য প্রতি মাসে অন্তত কয়েক কোটি টাকা খরচ করতে হয়, সে আইন সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার পক্ষের হতে পারে না। অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য জাকিয়া শিশির বলেন, মব সন্ত্রাস বন্ধে সরকার ও প্রভাবশালীদের আস্কারা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। যারা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে এসবে মদদ দিচ্ছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।