ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে: মহিলা পরিষদ

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচার করার জন্য সমাজ প্রস্তুত নয়। এই জায়গা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে; আজকে খুব ক্ষীণভাবে হলেও ধর্ষণের ঘটনার বিচারের জন্য সবার মধ্যে জাগরণ দেখতে পাচ্ছি, এই জাগরণকে ধরে রাখতে হবে, ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং ধর্ষণের শিকার নারী ও কন্যাকে সমাজে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
শুক্রবার মৌন প্রতিবাদ মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সংক্ষিপ্ত মানববন্ধনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের নেতারা এসব কথা বলেন। পরিষদের উদ্যোগে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানিয়ে ‘আমরা বিক্ষুব্ধ, শোকাহত, প্রতিবাদ জানাই’ এই বিষয়টিকে ধারণ করে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পর্যন্ত মৌন প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সহসভাপতি মাখদুমা নার্গিস রত্না, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগমসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা, সম্পাদকমণ্ডলী, ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা, নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির সদস্য, সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সংগঠনের প্রতিনিধি, সংগঠনের কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
প্রতিবাদ মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সংক্ষিপ্ত মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, আমাদের দেশে ধর্ষণের ঘটনার বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচার করার জন্য সমাজ প্রস্তুত নয়। এই জায়গা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে; আজকে খুব ক্ষীণভাবে হলেও ধর্ষণের বিচারের জন্য সবার মধ্যে জাগরণ দেখতে পাচ্ছি, এই জাগরণ ধরে রাখতে হবে, ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং ধর্ষণের শিকার নারী ও কন্যাকে সমাজে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সময়ের নারী আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি ধর্ষণ হলো পুরুষতান্ত্রিকতার বহিঃপ্রকাশ। এই পুরুষতান্ত্রিকতাকে ভাঙতে নারীর হাতেও ক্ষমতার অংশীদারত্ব দিতে হবে; সম্পদ-সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমান অধিকার দিতে হবে; নারী ও পুরুষ উভয়কে মানুষ হিসাবে ভাবার সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে, এই বিকাশের জন্য আমরা আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাব এবং এভাবেই আমরা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধকে নির্মূল করতে সক্ষম হব।
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, দেশজুড়ে ক্রমাগত নারী ও কন্যার প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও বিক্ষুব্ধ। ধর্ষণের মতো এই সহিংসতা মোকাবিলা করতে ও সবাইকে সচেতনভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সংগঠন দেশব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে। তিনি এ সময় নারীর প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা বন্ধে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের জোর দাবি জানান।