
প্রিন্ট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
প্রকাশ্যে শাস্তি দিলে নারী ও শিশু নির্যাতনে কেউ সাহস পাবে না

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম
-67d2c9c7a3b21.jpg)
আরও পড়ুন
এক সময় এসিড নিক্ষেপের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার করায় তা কমে গেছে। ধর্ষক ও নির্যাতনকারীদের প্রকাশ্যে জনসম্মুখে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া গেলে তারা আর অপরাধ করতে সাহস পাবে না। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি শরিয়া আইনের মাধ্যমে ধর্ষণের বিচার করার দাবি জানিয়েছেন নারী অধিকার আন্দোলনের সভানেত্রী ও বাংলাদেশ সরকারের প্ল্যানিং কমিশনের সাবেক ডিভিশন চিফ মমতাজ মান্নান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নারী অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুসহ দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং দায়ীদের শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধন করা হয়।
মমতাজ মান্নান বলেন, এক সময় বাংলাদেশে এসিড নিক্ষেপের প্রবণতা ছিল। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে তা কমানো গেছে। আমরা আশা করবো, ধর্ষক, নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের জনসম্মুখে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে। তাহলে আর কেউ ধর্ষণ, নারী নির্যাতন করার সাহস পাবে না।
তিনি বলেন, বহুদিন ধরে নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতন চলছে। বিচারহীনতা, বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা, অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারায় এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ বেড়েই চলেছে। মাগুরার শিশু আছিয়ার সঙ্গে করা অপরাধের বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করে অপরাধীদের শাস্তি কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে নারী ও শিশুদের জন্য একটি সুস্থ ও নিরাপদ ভুবন গড়ে তুলতে নারী অধিকার আন্দোলন ছয়টি দাবি জানায়।
দাবিগুলো হলো- নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে বিদ্যমান আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা; দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে যথাসময়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা; বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করা; শরিয়াহ আইনের মাধ্যমে ধর্ষণের বিচার করা; নারী ও শিশুর প্রতি পাশবিক অত্যাচার দমনে কঠোর দণ্ডবিধি প্রয়োগ করা এবং দণ্ড প্রকাশ্যে কার্যকর করা।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, নারী অধিকার আন্দোলনের সহ-সভানেত্রী ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডা. নাঈমা মোয়াজ্জেম, সাধারণ সম্পাদক নূরুন্নাহার, লালমাটিয়া মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আফিফা মুশতারী, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. তাহেরা বেগম, ড. শারমিন ইসলাম, লেখিকা নুরুন্নাহার খানম নীরু, সৈয়দা শাহীন আকতার, ড. সাজেদা হুমাইরা প্রমুখ।