২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৭ পিএম

শিল্প খাতের শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, উৎসব ভাতাসহ সব ধরনের পাওনা ২০ রোজার মধ্যে পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে এক তথ্যবিবরণীতে জানিয়েছে সরকার।
এছাড়া মালিকপক্ষকে সক্ষমতা অনুযায়ী চলতি মার্চ মাসের ১৫ দিনের বেতন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ৮৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি তুলে ধরে দেওয়া তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধসহ সার্বিক পরিস্থিতির ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ‘সক্রিয় দৃষ্টি’ রাখবে।
এছাড়া শিল্প কারখানা এলাকায় ২৮ ও ২৯ মার্চ শুক্র-শনিবারও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক খোলা থাকবে বলে তথ্যবিবরণীতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুর নগরীর টঙ্গী এরশাদনগর এলাকার বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার সাভারে বকেয়া বেতনের ভাতার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উপজেলার উলাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার ‘প্রতীক অ্যাপারেলস লিমিটেড’ কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
ঈদুল ফিতরের আগে সার্বিক শ্রম পরিস্থিতি, শিল্প খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ছুটিসহ অন্যান্য বিষয় পর্যালোচনার জন্য ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের এ সভা হয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় শ্রমিক, মালিকপ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- ঈদের আগে কোনো শ্রমিককে চাকরিচ্যুত অথবা ছাঁটাই করা যাবে না, কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক প্রতিনিধিরা আলোচনা করে ঈদুল ফিতরের ছুটির সময় নির্ধারণ করবেন।
এছাড়া সরকারের কাছে পাওনা তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএসহ মালিকপক্ষের নগদ সহায়তার অর্থ পরিশোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হবে।
শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধসহ সার্বিক পরিস্থিতি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (শ্রম) নেতৃত্বে মালিকপক্ষের প্রতিনিধিসহ একটি কেন্দ্রীয় ‘মনিটরিং সেল’ গঠন করা হবে।