Logo
Logo
×

জাতীয়

পাসপোর্টের পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম বরখাস্ত

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম

পাসপোর্টের পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম বরখাস্ত

ছবি: সংগৃহীত

পাসপোর্টের বহুল আলোচিত ডাটা অ্যান্ড পার্সোনালাইজেশন সেন্টারের পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার তাকে বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

তৌফিকুল ইসলামকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাসপোর্ট অধিদপ্ততরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার।

রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ বহিরগমন-৪ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ বরখাস্ত আদেশ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা অনুয়ায়ী আদালত কর্তৃক চার্জশিট গৃহীত হয়েছে।

সেহেতু, মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ধারা ৩৯ (২) এর বিধান মোতাবেক ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর অর্ধকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অবৈধ সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করে দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। সেখানে তিনি নিজ নামে ৩ কোটি ২২ লাখ ১৬ হাজার ৮১৫ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১ কোটি ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৪ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৪ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন।

এছাড়া ২৫ লাখ টাকার দায়-দেনার ঘোষণা দেন। কিন্তু অনুসন্ধানে ৪ কোটি ৫০ লাখ ৮৫ হাজার ১৪৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া গেলেও ৫৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬৬৩ টাকার উৎস পাওয়া যায়নি। যে কারণে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় নিয়মিত মামলা করা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম