Logo
Logo
×

জাতীয়

ভোল পালটে হাসিনার দোসররা বাগিয়ে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ

নেসারুল হক খোকন

নেসারুল হক খোকন

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৫ এএম

ভোল পালটে হাসিনার দোসররা বাগিয়ে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার দোসর হিসাবে চিহ্নিত শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে। তারা গত সাড়ে ১৫ বছর সরকারের নানা অপকর্মে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বেশ সক্রিয় ছিলেন তারা। কিন্তু ৫ আগস্টের পর রাতারাতি ভোল পালটে হয়ে গেছেন বিএনপি ও জামায়াতের অন্ধ সমর্থক। সংশ্লিষ্টদের ‘ম্যানেজ’ করে বাগিয়ে নিয়েছেন এসপি, ডিআইজি ও অতিরিক্ত আইজিপির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

অন্যদিকে মেধা, জ্যেষ্ঠতাসহ প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতা থাকার পরও যেসব কর্মকর্তা বিগত সময়ে বঞ্চিত হয়েছেন, তারা এখনো বঞ্চিত। পদোন্নতি তো দূরের কথা, তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম হতাশা ও চাপা ক্ষোভ। বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন-২০১৪ সালে খোদ গোপালগঞ্জের মতো জেলায় যিনি এসপি হয়েছিলেন, তিনি এখন নৌপুলিশের ডিআইজি। এভাবে তারা একে একে শতাধিক কর্মকর্তার নাম তুলে ধরলেন। এসব কর্মকর্তার আরও অভিমত-যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, তারা এখন পুরস্কৃত। সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপে জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য চরমভাবে ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা আছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুলিশের আইজি বাহারুল আলম সোমবার যুগান্তরকে বলেন, ‘সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, সেভাবেই বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে ২০১৮ সালের নির্বাচনে যারা সক্রিয় ছিলেন, তাদের ওএসডি করা হয়েছে। সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্ত এলে ২০১৪ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তালিকা করার কিছু নেই, সবই আমাদের জানা আছে।’

সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেন, বিএনপি আর আওয়ামী লীগ সবখানেই সুবিধাবাদী বলে কিছু লোক থাকে। তাদের দলের নাম ‘সুবিধাবাদী দল’। এরা তেল মারার দলের অন্তর্ভুক্ত। এদের চিহ্নিত করা হলেও কোনো না কোনো তদবিরে আবারও টার্গেট মতো পোস্টিং নেওয়ার চেষ্টা করবে। আওয়ামী লীগকে বোঝাবে তিনি আওয়ামী লীগের, আবার বিএনপির সময় তারাই হয়ে যাবেন বিএনপি। এসব পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে পেশাদারত্ব আশা করা যায় না। তিনি আরও বলেন, এই সরকারের প্রথমেই উচিত ছিল শীর্ষ পদে থাকা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকারী বিগত সরকারের লোকজনকে চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি। তবে সুবিধাবাদী দলের এসব পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করতে না পারলে বিগত সরকারের সময়ে সত্যিকার অর্থে নিষ্পেষিত কর্মকর্তারা স্থান পাবে না।

বিসিএস ২০তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, দলের লেজুড়বৃত্তি করা আলোচিত সেই কর্মকর্তারা এখন নেই। রীতিমতো পুলিশের মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়ার মতো অবস্থা তৈরি করে তারা চলে গেছেন। আমরা মর্যাদাশীল একটি পুলিশের অবস্থান চাই। যেখানে সরকার পরিবর্তনের পরও যেন পুলিশের মেরুদণ্ড ঠিক থাকে। কোনো পুলিশ সদস্যকে পালাতে না হয়।

বিসিএস ১৮তম ব্যাচের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘাপটি মেরে থাকা কিছু কর্মকর্তা গাছেরটাও খেয়েছে, এখন তলারটাও কুড়াচ্ছেন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে যিনি জেলার এসপি, তিনি এখন রেঞ্জ ডিআইজি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ার পেছনে মূল কারিগর তারাই।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, কক্সবাজার ও সুনামগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সুপার-মো. রহমতুল্লাহ এবং আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খানের আগের ইতিহাস পুলিশের সবাই জানে। তারপরও তাদের এসপি হিসাবে পদায়ন করা রহস্যজনক।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ১৮তম বিসিএস কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। তিনি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় গোপালগঞ্জ জেলার এসপি ছিলেন। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি হিসাবে যোগদান করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসপি থাকাকালীন ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর রসরাজ দাস নামে এক হিন্দু জেলের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে নাসিরনগর থানার হরিপুর গ্রামের পল্লিতে আলোচিত হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর মিজানুর রহমান পুলিশ সদর দপ্তরে পদায়ন পান। ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনে গোপালগঞ্জের এসপি হয়েও ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর তিনি ডিআইজি পদে পদোন্নতি পেয়ে সব হিসাব-নিকাশ পালটে দেন। বর্তমানে তিনি নৌপুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি হিসাবে কর্মরত।

১৫তম বিসিএস কর্মকর্তা কুসুম দেওয়ান। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক অপারেশনস হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজি পদে পদায়ন পান। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর সুপারনিউমারারি পদকে স্থায়ী করে তিনি নৌপুলিশের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেন। উপজাতীয় কোটায় চাকরি পেয়ে নিজেকে আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে সব পদোন্নতি বাগিয়েছেন। অথচ ১৫তম ব্যাচের কত মেধাবী কর্মকর্তা অ্যাডিশনাল ডিআইজি হতে পারেননি। ১৫তম ব্যাচের মেধাক্রমে দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ হেল বাকীকে পুলিশ সুপার হিসাবে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। অবসরের মাসদুয়েক পর তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।

বিদায়ি ফ্যাসিবাদ সরকারের নানা অপকর্ম বাস্তবায়নে যারা বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন, তাদের বিভিন্ন পদক দেওয়ার মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন-১৮তম বিসিএস কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী খান ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি পিটিসি, নোয়াখালীর কমান্ড্যান্ট। তিনি বিপিএম সেবা পদক পান। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় মৌলভীবাজারের এসপি মোহাম্মদ শাহজালাল দুবার পুলিশ পদক পাওয়ার পর ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে তিনি বিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি তানভীর মমতাজও বিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন ২০২৪ সালে। তিনি ২২তম বিসিএস কর্মকর্তা। আবার বাড়িও গোপালগঞ্জ জেলায়। ২২তম বিসিএস কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান। তিনি ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় ঝিনাইদহ জেলার এসপি ছিলেন। ২০১৮ সালে নির্বাচন উপলক্ষ্যে পুলিশ পদক ও ২০২৪ সালেও তিনি পুলিশ পদক পেয়েছেন। সর্বশেষ সিআইডিতে থাকাবস্থায় তাকে ওএসডি করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত ২৪তম বিসিএসের ড. সাইফুল্লাহ বিন আনোয়ার, মো. মাহবুবুল করিম ও মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, মো. নাজমুল ইসলাম, মো. মোশাররফ হোসেন পুলিশ পদক পেয়েছেন। এসবিতে কর্মরত ২৪তম বিসিএস কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুর রহমান, মোহাম্মদ হায়াতুন নবী ও মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন। এই তিন কর্মকর্তা প্রায় ১৯ বছর ধরে এসবিতে কর্মরত। জুলাই বিপ্লবে এসবির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হলেও তারা স্বপদে বহাল আছেন।

এছাড়া ২৮তম বিসিএসের কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলমের বাড়ি বগুড়ায়। তিনি পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে ২০২৪ সালের পুলিশ সপ্তাহে বিপিএম পদক পান। জুলাই বিপ্লবের পর পুলিশ সুপার হিসাবে পদোন্নতিও পেয়েছেন তিনি। এখন ডিএমপির রমনা জোনের ডিসি হয়েছেন। ২৫তম ব্যাচের মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মুহাম্মদ তালেবুর রহমান (বর্তমানে ডিসি, মিডিয়া, ডিএমপি) ও মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন পুলিশ পদক পেয়েছেন। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিপিএম পদক পেয়েছেন জুলাই বিপ্লবের সময় উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসান। ২৭তম বিসিএস কর্মকর্তা মাদারীপুরের সাবেক এসপি মো. সাইফুজ্জামান ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে তিনি বিপিএম পদক পেয়েছেন। ২৭তম বিসিএস কর্মকর্তা খন্দকার গোলাম মাওলা জুলাই বিপ্লবের সময় এসবিতে ছিলেন। বর্তমানে তিনি চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার। ২০২৪ সালে বিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন তিনি। ২৭তম বিসিএস কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার জুলাই বিপ্লবের সময় এসবিতে ছিলেন। বর্তমানে তিনি নওগাঁর এসপি। ২০২৪ সালে তিনিও বিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন। ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হাসান রাজীব। জুলাই বিপ্লবের সময় তিনি নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছিলেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সারাহ ফারজানা চার্জ গঠনের আদেশ দিয়েছেন। ২১ লাখ ৪০ হাজার টাকা যৌতুক ও ব্যক্তিগত গাড়ি দাবির অভিযোগে গত বছরের ২১ মে আদালত সমন জারি করেন। তার বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও শারীরিক-মানসিকসহ ভ্রূণ হত্যার দায়ে আদালতে পৃথক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনিও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে পিপিএম পদক পেয়েছেন। পদকের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের চূড়ান্ত পুরস্কার ঘোষণার আগে তাদের নৈতিকতা যাচাই করা হয়। নাজমুল হাসান রাজীবের বিরুদ্ধে ২টি ফৌজদারি মামলা চলমান থাকাবস্থায় তাকে যাচাই-বাছাই না করে পদক দেওয়া হয়েছে। পদক পেয়েছেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট-১ শাখার এসআই ওমর আল ফারুক। তিনি সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলার এসপি থাকাকালীন রিজার্ভ অফিসার ছিলেন। ডিআইজি হারুনের আস্থাভাজন হিসাবে তাকে পুলিশ সদর দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ শাখায় পদায়ন করা হয়। হারুন পালিয়ে গেলেও তার অনুপস্থিতিতে পুলিশ সদর দপ্তরে মুখোশ পরে আছেন ওমর আল ফারুকের মতো বহু দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্য।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এখন এসবিতে। তিনি ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে পুলিশ পদকও পেয়েছেন। ১৮তম বিসিএস কর্মকর্তা কাজী জিয়াউদ্দিন বর্তমানে ডিআইজি হিসাবে আছেন পুলিশ সদর দপ্তরে। পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতির পর থেকে তিনি পুলিশ সদর দপ্তরেই কর্মরত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিয়োগকৃত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল তার আপন চাচাতো ভাই। ২০তম বিসিএস কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা প্রায় ১৩-১৪ বছর ধরে আছেন পুলিশ সদর দপ্তরে। ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সব জাতীয় নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকা ছিল তার। কিন্তু পদের পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে তিনি অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে কর্মরত। ২৪তম বিসিএস কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল করিম ২০০৬ সাল থেকে আছেন পুলিশ সদর দপ্তরে।

জানা গেছে, এসপি থেকে সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত ডিআইজি পর্যন্ত পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রায় সবই পুলিশ সদর দপ্তরে। ২৪তম বিসিএস কর্মকর্তা ডা. এমদাদুল হক ২০০৬ সালে প্রশিক্ষণের পর কিছুদিন জেলা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। এরপর থেকে পুলিশ হাসপাতালে কর্মরত। গত ৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছেন। এখনো পুলিশ হাসপাতালে এসপি (প্রশাসন) হিসাবে কর্মরত। কোনো কিছুতে তাকে সরানো যায়নি। এহসান সাত্তার ২৪তম বিসিএস কর্মকর্তা। প্রায় ১৩-১৪ বছর পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত। পলাতক অ্যাডিশনাল আইজি আতিকুর রহমানের একনিষ্ঠ শিষ্য হিসাবেই তাকে সবাই চেনেন। ২৪তম বিসিএস কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল ইসলামও প্রায় ৮-৯ বছর ধরে আছেন পুলিশ সদর দপ্তরে।

অ্যাডিশনাল আইজি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক ১৯৯১ সালের বিশেষ বিসিএস কর্মকর্তা। তিনি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাবেক অতিরিক্ত আইজি আতিকুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ। সহকারী পুলিশ সুপার পদে কিছুদিন মাঠ পর্যায়ে কাজ করার পর প্রায় ৩০-৩১ বছর পুলিশ সদর দপ্তরে ছিলেন। অ্যাডিশনাল আইজি হিসাবে পদোন্নতির পর কয়েক মাস বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ পদে পদায়ন করা হয়। গত জানুয়ারি মাসে তাকে পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর করা হয়। জুলাই বিপ্লবের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। ২০তম বিসিএস কর্মকর্তা মিয়া মাসুদ করিম সদর দপ্তরে অতিরিক্ত ডিআইজি। তিনিও টানা ৫-৬ বছর ধরে কর্মরত।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম