মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স নিয়ে আপিলের পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ১১:০৪ পিএম

ফাইল ছবি
মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স ন্যূনতম ১২ বছর ছয় মাস নির্ধারণ করে সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের আপিলের পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ। আংশিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ দিন ধার্য করেন। এদিন শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই রায়ে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রায়ে শেখ মুজিবকে গ্লোরিফাই করা হয়েছে, অথচ বাস্তবতা ভিন্ন।
২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর জারি করা একটি পরিপত্র পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ’ করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে। এরপর ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আরেকটি গেজেটের মাধ্যমে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর জারি করা গেজেটে বয়স প্রতিস্থাপন করে ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স ১২ বছর ছয় মাস করা হয়।
এই দুটি গেজেট ও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮ এর ২(১১) ধারা অনুযায়ী সরকার কর্তৃক বয়সসীমা নির্ধারণের ধারার আংশিক চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধারা হাইকোর্টে পৃথক ১৫টি রিট অবেদন করেন।
ওই ১৫টি রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১৯ সালের ১৯ মে ওই গেজেট ও পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র আপিল বিভাগে আসে।