
ফাইল ছবি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে নতুন এই উপদেষ্টাদের শপথ হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
নতুন কতজন উপদেষ্টা শপথ নেবেন সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। যিনি বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে ১০ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেন আরও তিনজন।
তারা হলেন—প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও ব্যবসায়ী শেখ বশির উদ্দিন। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বঙ্গভবনে তারা শপথ নেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হলেন ২৪ জন। এরইমধ্যে একজন পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে ১৬ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যুক্ত হন আরও চার উপদেষ্টা। এ উপদেষ্টারা হলেন- সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম।
আগস্ট ৮ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে ১৬ জন শপথ নেন ওইদিন।
তারা হলেন- সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শারমিন মুরশিদ, ফারুক–ই–আজম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সুপ্রদীপ চাকমা, বিধান রঞ্জন রায়, আ ফ ম খালিদ হোসেন, ফরিদা আখতার, নুরজাহান বেগম, মো. নাহিদ ইসলাম (সাবেক) ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এদের মধ্যে সুপ্রদীপ চাকমা, বিধান রঞ্জন রায়, ফারুক–ই–আজম ঢাকার বাইরে থাকায় শপথ গ্রহণ করতে পারেননি ওইদিন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়।