মানববন্ধনে ড. বদিউল আলম মজুমদার
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আবারও স্বৈরাচারের পুনরুত্থান হবে

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ১২:১৩ এএম

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সংস্কারগুলো দ্রুততার সঙ্গে হওয়া উচিত। তাহলে দ্রুত একটি নির্বাচন হতে পারে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আবারও স্বৈরাচারের পুনরুত্থান হবে।
শনিবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সুজন আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সংস্কারের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ’-এর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মব-কালচার বন্ধ করাসহ ২৬ দাবি জানানো হয়।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন কিন্তু শুধু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্দেশ্যে নয়; এটা ছিল স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিতাড়ন ও স্বৈরাচারী পদ্ধতি, প্রক্রিয়া, প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবর্তন। স্বৈরাচারী পদ্ধতি শেখ হাসিনাকে দানবে পরিণত করেছিল।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা আকাশ থেকে আবির্ভূত হননি, একটি পদ্ধতির মধ্য দিয়ে তিনি তা হয়েছেন। এই পদ্ধতির সংস্কারের প্রয়োজন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। একই সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে মার্কিন সরকারের দেওয়া অনুদান সুজন পেয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন সম্পাদক বলেছেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সুজন কোনো নিবন্ধিত সংগঠন নয়। সুজন কোনো বিদেশি সাহায্য নিতে পারে না; সংগঠনটি পরিচালিত হয় বিভিন্ন ব্যক্তির সহায়তায়। স্বৈরাচারের দোসররা বিতর্কিত করার জন্য এসব অপতথ্য ছড়াচ্ছে।
সুজনের অন্যতম দাবিগুলো হচ্ছে-অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা; সারাদেশে সৃষ্ট অরাজকতা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ; অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ; দল-মত নির্বিশেষে অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা; অবিলম্বে মব-কালচার বন্ধ করা; ফ্যাসিবাদ দমনে ফ্যাসিবাদী আচরণ পরিহার করা; সব ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করা; সংস্কারের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি; রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত অঙ্গীকার নিশ্চিত করা; দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা; অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ না করা এবং জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণমুক্ত করা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী মুসবাহ আলীম, জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন, সুজন ঢাকা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রাশিদা আক্তার শেলী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সুজনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।