‘বিদ্যুৎ-জ্বালানিতে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় ডাকাতি হয়েছে’

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

বিদ্যুৎ-জ্বালানিখাতে রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায় ডাকাতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব (সিনিয়র সচিব) শফিকুল আলম।
বুধবার নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) টকে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ডিজেএফবি টকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি হামিদ-উজ-জামান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদ আবু হেনা মুহিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত টকে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।
প্রেস সচিব বলেন, এনার্জি খাতে ডিসিপ্লিন ফিরিয়ে আনা দরকার। স্টেট স্পন্সরশিপ করে ডাকাতি হয়েছে এই খাতে। বিদ্যুৎখাতে স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করছি। বড় বড় পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আমরা গ্যাসের জন্য প্রচুর পরিমাণে কূপ খনন করতে চাই।
বৈদেশিক বিনিয়োগ আনতে চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো হবে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বাড়ানো হবে। এ পোর্টের দক্ষতা না বাড়লে ইনভেস্টমেন্ট বাড়বে না। রিএক্সপার্ট করতে গেলে চট্টগ্রামের দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে। এ জন্য বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমরা চাই চট্টগ্রামের প্রতিট পোর্ট উন্নয়ন করা তা হলে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের টাকা চুরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামানের নিজের জন্য টানেল হয়েছে। দেশের অর্থনীতি কলাপস হওয়ার মতো অবস্থায় ছিল ছয় মাসে ইকোনমি যে অবস্থায় কামব্যাক করেছে তা মিরাকল। আমরা এমন এক ইকোনমিক ব্যবস্থা পেয়েছিলাম জমিদারের মতো হাতে কিছু টাকা পেয়েছি তা বাজে কাজে ব্যবহার। অপচয়কে ট্যাকেল দিতে ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। বাজোটের বড় অংশ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এনার্জি সিস্টেম দক্ষ না হলে কেউ বিনিয়োগ করবে না। পাওয়ার সিস্টেমে ডাকাতির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দেশের বিনিয়োগ দরকার সেটা করা হয়নি। রেভিনিউ সিস্টেম করছেন তা ভালো ছিল না। হাতে টাকা নাই যা তা খরচ করেছে বিগত সরকার। এমনভাবে রেললাইন টানা হয়েছে- সারাদিনে রেল চলে না। এটা জনগণের টাকার অপচয় করা ছাড়া কিছু নয়।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়ানো হয়েছে।