Logo
Logo
×

প্রথম পাতা

চারদিকে আতঙ্ক : বাড়ছে ছিনতাই ডাকাতি ধর্ষণ

জনগণের নিরাপত্তা কোথায়

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জনগণের নিরাপত্তা কোথায়

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন কোনোভাবেই সরকার সামাল দিতে পারছে না। নানাভাবে চাঁদাবাজি ছাড়াও একের পর এক লোমহর্ষক ছিনতাই, ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেই চলছে। উত্তরায় প্রকাশ্যে রিকশা আরোহীকে রামদা দিয়ে কোপানো ঘটনার রেশ না কাটতেই বাসের মধ্যে তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো পৈশাচিক ঘটনা ঘটে ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে। এর একদিন পর রোববার রাজধানীবাসী এক বিভীষিকাময় রাত দেখল। মাত্র দুঘণ্টার ব্যবধানে রাত ১১টায় বনশ্রীতে বাসার সামনে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি ও ছুরিকাঘাত, মোহাম্মদপুর ও আদাবরে দুই রিকশা আরোহীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুট এবং ধানমন্ডিতে ডাকাত আতঙ্কসহ নানান ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর বাইরেও নানা স্থানে ছিনতাইকারী চক্র হানা দিয়েছে। 

এসব ঘটনায় রাতেই ফুঁসে ওঠে রাতের ঢাকা। প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাতেই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়াসহ জনগণকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানাতে রাত ৩টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। 

এদিকে প্রতিবাদ জানাতে সোমবার দিনভর শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিক্ষুব্ধ জনতা নানা কর্মসূচি পালন করে। শহিদ মিনার থেকে সচিবালয় পর্যন্ত পদযাত্রা, বনশ্রীতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ এবং ফার্মগেটসহ বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। এছাড়া ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হয়েছে। 

পরিস্থিতি সামাল দিতে বিকালে জরুরি ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতিমূলক সর্বোচ্চ কোর কমিটির বৈঠক আহ্বান করা হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এখানে সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। এতে সাংবাদিকদের জানানো হয়, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে নানামুখী সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে। ডেভিল হান্টের নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‌্যাব এবং এন্ট্রি টেরোরিজম ইউনিট সমন্বয়ে টহল টিম বাড়ানো হবে। এছাড়া বাড়ানো হবে চেকপোস্ট। এর বাইরে হালনাগাদ গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে মশাল মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে নারী শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে শিক্ষাভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা এ আলটিমেটাম দেন। এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। পরে ৩টা ৫ মিনিটে রাজধানীর শিক্ষাভবন মোড়ে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তারা শিক্ষাভবন মোড়ে যাওয়ার আগেই পুলিশ ব্যারিকেড দিলে আন্দোলনকারীরা তা সরিয়ে ফেলেন।

গুলি করে কুপিয়ে ব্যবসায়ীর স্বর্ণলুটের ঘটনায় বনশ্রীতে রাস্তা অবরোধ করে এলাকার ব্যবসায়ীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। নিরাপত্তা চান সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছেও।

তারাও এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে ফার্মগেটে ক্যাম্পাসের সামনে মানববন্ধন করেন এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। দ্রুত দেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা। একই দাবিতে বিক্ষোভ করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ বিক্ষোভ করেন তারা। বিক্ষোভ শেষে উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর প্রতীকী গায়েবানা জানাজা পড়েন শিক্ষার্থীরা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরাও মহাসড়ক অবরোধ করে। 

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার অনেকে যুগান্তরকে জানান, সরকার জননিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হচ্ছে। তারা কিছুই সামলাতে পারছে না। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এমন বাংলাদেশ কেন? আমরা তো এমন পরিস্থিতি দেখার জন্য জীবনবাজি রেখে আন্দোলন করিনি। উনারা পরিস্থিতি ভালো করার জন্য অনেক সময় পেয়েছেন। কিন্তু কোনোভাবে পারছেন না। বলা হচ্ছে-এসব করছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসররা। ভালো কথা। তাহলে তো আপনারা জানেন, কারা করছে। প্রশ্ন হলো-তাদের ধরছেন না কেন? তারা বলেন, মানুষ এখন ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী ও ডাকাতের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। বাসে উঠতেও ভয় পাচ্ছে। তাহলে জনগণের নিরাপত্তা কোথায়। কেউ তো কোথাও এখন নিরাপদবোধ করছে না। কিন্তু এর সমাধান হতেই হবে। 

কোর কমিটির সভা : এদিকে সোমবার বিকালে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। আগে বনশ্রীর ঘটনার মতো ঘটনা ঘটলে জানতে দুই দিন লাগত। এখন মানুষ সঙ্গে সঙ্গে জেনে যায়, যে কারণে মানুষ ভাবছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তিনি বলেন, এই ছোটখাটো ঘটনা আগেও ঘটেছে, দু-একদিন আগেও ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা দেখবেন রাত থেকেই আস্তে আস্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে পরিস্থিতি টের পাবেন।’ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘স্যাটিসফ্যাক্টরি’ বা সন্তোষজনক বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, পরিস্থিতি আরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে। রোববার রাত তিনটায় কেন তাকে সংবাদ সম্মেলন করতে হলো, সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আগে রাত আড়াইটায় কাউকে খুঁজে পাওয়া যেত না। আমরা দিনেও যেমন কাজ করি, রাতেও কাজ করি। রাতে সংবাদ সম্মেলন আপনাদের এটা বোঝানোর জন্য করা হয়েছে যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শুধু দিনে নয়, রাতেও কাজ করেন।’

স্বরাষ্ট্র্র উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছরে কোনো গণমাধ্যম এমন লেখেনি যে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আজ খুবই ভালো। আমি নিজেও সাংবাদিক ছিলাম। আমি বলব, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো সন্তোষজনক।’ পদত্যাগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমিও দেখছি, আমার পদত্যাগের দাবি করা হচ্ছে। আমার দাফন হচ্ছে। জানাজা হয়ে গেছে। কুশপুত্তলিকা দাহ করা হচ্ছে। জীবিত অবস্থায় জানাজার সওয়াব পেয়ে গেছি।’

৫ আগস্টের পর ছয় মাস পার হলেও পুলিশ এখনো নির্লিপ্ত কেন, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের কর্মকাণ্ড আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা সে কাজ করছে। অপরদিকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ঢাকার যেসব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, সেসব জায়গায় পেট্রোল বাড়বে। সন্ধ্যা থেকে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান শুরু করবে। ঢাকার অনেক জায়গায় চেকপোস্ট বসবে। 

তিনি জানান, সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থার অ্যাকটিভিটি আরও বাড়ানো হবে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে প্রচণ্ড যানজট থাকে। অপরাধীকে ধরতে পুলিশের জন্য ১০০টি মোটরসাইকেল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অন্য বাহিনীর সদস্যদের জন্যও মোটরসাইকেল কেনা হবে। কোনো বাহিনীর অসহযোগিতা দেখছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, কোনো বাহিনী থেকে অসহযোগিতা তারা দেখছেন না। যত দ্রুত সম্ভব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা হবে।

কক্সবাজারে বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি জানতে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্স চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাত ৩টার সংবাদ সম্মেলন : এর আগে রোববার মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এসব ঘটনায় রাত তিনটায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। 

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করতে সব ধরনের চেষ্টা করছে। প্রচুর টাকার ব্যবহার করছে। আমরা যেভাবেই হোক তা প্রতিহত করব। আওয়ামী লীগের যারা এসব কাজ করছে তাদের ঘুম হারাম করে দেব। 

ওরা কিশোর গ্যাং : রাজধানীর অপরাধ বিশ্লেষণ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ছিনতাই ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের অধিকাংশেরই বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এরা বিভিন্ন এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তাদের অধিকাংশই ভাসমান। তিনি বলেন, ঢাকায় ১০২টি কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্টপোষক ছিলেন ২৯ জন। এই পৃষ্টপোষকদের অধিকাংশই বিভিন্ন এলাকার কাউন্সিলর কিংবা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা ছিলেন। জুলাই আন্দোলনের পর তাদের কেউই এলাকায় নেই। তবে মোহাম্মদপুর, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লায় এসব কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধীরা সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেন, তবে ডেভিল হান্ট অপারেশন শুরুর পরপরই শুধু চিহ্নিত আওয়ামী নেতাদের নয়, পাশাপাশি তাদের অনুসারী বলে পরিচিত কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের গ্রেফতার করা হলে এমন পরিস্থিতি হতো না। এদিকে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে ডিএমপির উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনরাতে ৫০ থানায় ৫শ’ টহল টিম ডিউটি করে। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে ১ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত ডিএমপিতে ৪২টি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৯৭ জনকে। আর ৯৬টি ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেফতার করা হয় ২৪৮ জনকে। তিনি বলেন, জামিনে ছাড়া পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে ওয়াচ করছে পুলিশ। আর নিয়মিত অভিযানে অপরাধীদের গ্রেফতার অব্যাহত আছে। পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আকরাম হোসেন যুগান্তরকে বলেন, অপরাধীদের অধিকাংশই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। এদেরকে কাজে লাগাচ্ছে বিভিন্ন মহল। এদের আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে।

যা বললেন আইজিপি : দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রশ্নে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ‘একটা গোষ্ঠী চাচ্ছে না যে আমরা স্থিতিশীল হই। তারা চেষ্টা করছে। এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।’ সোমবার দুপুরে রাজশাহী পিটিআইয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।


Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম