
রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক আসিফ হত্যা মামলায় নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের তিন দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রিমান্ড শুনানি চলাকালে কাঠগড়ার ভেতরে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। পরে রিমান্ডের আদেশ শুনে কাঠগড়ার সামনে এসে দাঁড়ান।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জাকির হোসাইনের শুনানি শেষে তাকে রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
এদিন সকাল ১০টা ১১ মিনিট তাকে আদালতে তোলার জন্য হাজতখানা থেকে বের করা হয়। তাকে হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হ্যান্ডকাফ পরানো ছিল। এ সময় তিনি এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে বলতে হেঁটে যান। তাকে উদ্দেশে করে তিনি কী বলেন- তা জানা সম্ভব হয়নি। এরপর তাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। তখন তিনি মুখের মাস্ক খুলে পেছনে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ আলতাফ হোসাইন পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের শুনানি শুনে তিনি কাঠগড়ায় সামনে এসে দাঁড়ান। পরে এক পাশে এসে তিনি মামলা সম্পর্কে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন।
তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না জানতে চান। এ সময় তিনি তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে তাকে কাঠগড়া থেকে আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুর থানাধীন এলাকায় গত ১৯ জুলাই আন্দোলনে অংশ নেন আসিফ। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হলে সহযোদ্ধারা তাকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন তিনি মারা যান। এ ঘটনায় গত ১ নভেম্বর মিরপুর থানায় ২২ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়।
এর আগে গত ১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরদিন ২ অক্টোবর যাত্রাবাড়ীর ইমন হোসেন গাজী হত্যা মামলায় তাকে ৫ দিনের রিমান্ড দেন আদালত। এরপর আরও কয়েকটি মামলায় কয়েক দফা তাকে রিমান্ড দেন আদালত।