ভোলার মনপুরা উপজেলার বিচ্ছিন্ন ঢালচরে জেলেদের সঙ্গে জেলে নিবন্ধন হালনাগাদ-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করেছেন দুই উপদেষ্টা। উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার বিকালে ভোলার মনপুরা উপজেলার বিচ্ছিন্ন ঢালচরে জেলেদের সঙ্গে জেলে নিবন্ধন হালনাগাদ-সংক্রান্ত এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ও নৌ পরিবহণ ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

জেলের তালিকায় নারী মৎস্যজীবীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রকৃত জেলেদের তথ্য নিয়ে স্বচ্ছভাবে জেলে নিবন্ধন করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব কাজে আসবে না। এছাড়াও আমরা এখন বর্তমানে চেষ্টা করছি নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত ২৫ কেজি চালের পরিবর্তে ৪০ কেজি করা ও ৪০ কেজির পরিবর্তে ৫০ কেজি করা।

তিনি বলেন, অবরোধকালে যেন ভারতের জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় এসে অবৈধভাবে মাছ ধরতে না পারে সেই ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধ মাছধরা রোধে ভারতের সঙ্গে মিলিয়ে আমাদের নিষেধাজ্ঞা সময় নির্ধারণ করা হবে।

অন্যদিকে সাংবাদিকদের নৌ পরিবহণ ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা ও দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা বিআরডিবি অফিসার মাহতাব উদ্দিন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের অতিরিক্ত সচিব সুরাইয়ার আখতার জাহান, বরিশালে মৎস্য অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখন বণিক, বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী জোবায়ের হাসান রাজিব চৌধুরী প্রমুখ।

পরে উপজেলার নতুন তালিকাভুক্ত জেলেদের মাঝে জেলে কার্ড বিতরণ করা হয়। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা পুরুষ জেলেদের পাশাপাশি নারী জেলেরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভা শেষে উপদেষ্টা দুজন চরফ্যাশন উপজেলার কুকরিমুকরি চরের নবনির্মিত লাইট হাউজ পরিদর্শন করেন।