দ্বিতীয় স্ত্রীর যৌতুক মামলা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৩ পিএম

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান রাজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারক সারাহ ফারজানা হক এ আদেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী ও আদালতের বেঞ্চ সহকারী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাদীর আইনজীবী জুলফিকার আলী জানান, বৃহস্পতিবার যৌতুকের মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। অপর পক্ষ অব্যাহতির বিরোধিতা করেন। দুপক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত-১৫ এর বিচারক সারাহ ফারজানা হক রাজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক বাদীকে বিয়ে করেন নাজমুল হাসান রাজিব। পরের বছর ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তাদের কাবিন রেজিস্ট্রি হয়। প্রথম বিয়ে গোপন করা রাজিব দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার পরিবারের কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে ২১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে আরও টাকা ও ব্যক্তিগত গাড়ি যৌতুক দাবি করলে দ্বিতীয় স্ত্রী সেগুলো দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
একপর্যায়ে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করলে স্বামীর বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গত বছরের ২১ মে সমন জারি করেন। আসামি জামিন নিতে গেলে আপসের শর্তে পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
নাজমুল হাসান রাজিব ৩১ বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি বর্তমানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত। এর আগে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত র্যাবে কর্মরত ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আগের বিয়ে গোপন রেখে ২০২৩ সালে প্রতারণা করে দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন। এছাড়া জাল-জালিয়াতি ও শারীরিক-মানসিক নির্যাতনসহ ভ্রূণ হত্যার দায়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।