নাফিজ সরাফতের ২ সহযোগী ও স্ত্রীসহ সরওয়ারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম

পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফতের দুই সহযোগী পদ্মা ব্যাংকের ইভিপি এম আতিফ খালেদ ও সিএসও মো. শরিফুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আ ক ম সরওয়ার জাহান ও তার স্ত্রী মাহমুদা সিদ্দিকার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জৈষ্ঠ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের দুটি আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, দুদক তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার পৃথক দুটি আবেদন করেন। আদালত আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এ আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
নাফিজ সরাফাতের দুই সহযোগীর নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের পক্ষে উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে ঘুস, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বর্তমানে বিদেশে পলাতক রয়েছেন। তবে তার অবর্তমানে তার দেশীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে সমস্ত ব্যক্তি তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন মর্মে গোপন সূত্রে ও প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণে পাওয়া যাচ্ছে। তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
স্ত্রীসহ সাবেক এমপি সরওয়ার জাহানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম।
আবেদনে বলা হয়, আ ক ম সরওয়ার জাহান ও মাহমুদা সিদ্দিকার বিরুদ্ধে একে অপরের সহায়তায় অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সরওয়ার জাহানের ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ১৯ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫০ টাকা মূল্যের সম্পদ ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলাটি বর্তমানে তদান্তাধীন রয়েছে। তদন্তকালে জানা যায়, আসামিদের নামে অর্জিত অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।