সবার ৭ দিন হলেও কারাগারে থাকা উচিত: পলক

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, জেল জীবন মারাত্মক। জীবনে শিক্ষা নেওয়ার জন্য সাতদিন হলেও সবাইকে কারাগারে থাকা উচিত। আমি যদি কখনো কারাগার থেকে বের হতে পারি তখনও এই কথা বলব।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে
আইনজীবী ও পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে আদালতের হাজতখানা থেকে পলককে বের করা হয়।
এসময় তাকে হেলমেট, হাতকড়া ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরানো হয়েছিল।
হেঁটে আদালতে যাওয়ার পথে তিনি বলেন, সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না।
মিথ্যা দিয়ে সত্যকে সাময়িকভাবে আড়াল করা গেলেও সত্যের জয় অনিবার্য ইনশাআল্লাহ। পরে
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতের কাঠগড়ায় তাকে তোলা
হয়।
এ সময় তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীদের বলেন, আমি নিয়মিত আদালতে
আসি। যেদিন আদালতে না আনা হয় সেদিন কারাগারে হাটতে বের হলে জেলের বন্দিরা আমাকে
উদ্দেশ্য করে বলে, ভাই আজকে আপনার অফিস নেই? আদালতকে তারা আমার অফিস ভাবে।
নিজের ব্যক্তিগত আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তোমরা কথা বললেই
তো রিমান্ডের পরিমাণ বেড়ে যায়৷ তারা তো (রাষ্ট্রপক্ষ) বলেছে, রিমান্ড তো শুরু৷ তাই
কথা বলার দরকার নেই। আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী। এটা কোনোভাবে পরিবর্তন করা
যাবেনা। পরে তিনি কাঠগড়ায় সামনে গিয়ে দাঁড়ান। তখন ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক
প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকীকে উদ্দেশ্য করে একাধিকবার সালাম দেন। তবে
প্রথমে সাড়া না দিলেও পরবর্তীতে পিপি হাসতে হাসতে তার সালামের উত্তর দেন।
এরপর পলক বলেন, যাক এইবার পিপি স্যারের মন নরম হয়েছে। তবে এসময়
বিচারক এজলাসে ছিলেন না। পরে ১১ টা ১০ মিনিটে এজলাসে ওঠেন বিচারক। পরে রিয়াজ হত্যা
মামলায় পলককে গ্রেফতার দেখানোর শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে এ মামলায় গ্রেফতার
দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাকে আদালত থেকে হাজতখানায়
নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪
আগস্ট রাজধানীর ধানমন্ডির সায়েন্স ল্যাব এলাকা থেকে জিগাতলা এলাকায় যাওয়ার পথে
আসামিদের ছোড়া গুলিতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন মো. রিয়াজ (২৩)। দুই
সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৭ আগস্ট বিকালে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের মা মোসা.
শাফিয়া বেগম ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।