মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দাদন থেকে মত্স্যজীবী ও খামারিদের বাঁচাতে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংকের কথা ভাবছে সরকার। গবাদিপশু পালনকারীদের কৃষি ঋণ সুবিধার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে চায় সরকার। মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, জাল যার জলা তার নীতি অনুসরণ করে প্রকৃত মত্স্যজীবীদের সরকারি জলমহাল ইজারা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ডিসিদের। জলমহলগুলো অমত্স্যজীবীরা ইজারা পাবেন সেটা হবে না। প্রকৃত মত্স্যজীবীরা পেলে উপকৃত হবেন। এসব ইজারা বিষয়ে ডিসিদের বড় ভূমিকা থাকে, আমরা নির্দেশ দিয়েছি তারা যেন সেটা ঠিকভাবে করেন।

তিনি আরও বলেন, মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ অভিযান এবং অবৈধ জাল ও ফিশিং গিয়ারের ব্যবহার বন্ধে অভিযান জোরদার করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কারেন্ট জালসহ অবৈধ জাল ও ফিশিং গিয়ার তৈরি, বিপণন ও বাজারজাত বন্ধ করায় অভিযান জোরদার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জলাশয় পুনঃখনন, অভয়াশ্রম ও বিল নার্সারি স্থাপনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

ফরিদা আখতার বলেন, উপজেলা পরিষদের বাজেটে প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য নির্দষ্টি বরাদ্দ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় গবাদিপশু চোরাচালান বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কুরবানির হাট ব্যবস্থাপনায় ভেটেরিনারি টিমকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান ও হাটে প্রাণীকল্যাণ আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।