আইনি প্রক্রিয়া মেনেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা করা হয়েছিল: উপদেষ্টা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৪ পিএম

সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া মেনে সরকারি শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আদালত থেকে একটি রায় হয়েছে, যেটিতে তারা ক্ষুব্ধ। আমরা আপিল করেছি। যেহেতু এটি এখন আদালতে বিচারাধীন বিষয়, তাই প্রশাসনিকভাবে আলাদা কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নেই।’
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই তারা ফল ঘোষণা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘যখন ফল ঘোষণা করা হয়েছে, আমাদের মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে ফল ঘোষণা করেনি। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই ফল ঘোষণা করেছি। ফলে আমরা মনে করছি আমরা আইনি কাঠামোতেই আমাদের কাজগুলো করেছি। সে হিসেবে তারা (আন্দোলনরতরা) যেটা চাচ্ছেন, তাদের সঙ্গে আমাদের সহানুভূতি রয়েছে।’
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর থেকে আন্দোলন করছেন ফল বাতিল হওয়া শিক্ষক প্রার্থীরা।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ডিসিদের বক্তব্য শুনেছি এবং আমরা কী করছি, কী করতে যাচ্ছি সে বিষয়ে তাদের অবহিত করেছি। জেলা পর্যায়ের কমিটিতে ডিসিরা রয়েছেন। সেই কমিটিতে যেন বিভিন্ন বিষয় তারা সিরিয়াসলি দেখেন, সে বিষয়ে বলা হয়েছে। নির্মাণকাজ যেন ঠিকমতো হয় সে বিষয়ে বলেছি। অনেক কিন্ডারগার্টেন রয়েছে, নীতিমালা অনুযায়ী সেগুলো নিবন্ধিত হওয়া দরকার, কিন্তু অনেকগুলো নিবন্ধিত নয়। সেগুলো নিবন্ধনের ওপর আমরা জোর দিয়েছি।’