Logo
Logo
×

জাতীয়

‘বেশি কথা বলবা না, শুধু অসুস্থতার কথা বলবা’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম

‘বেশি কথা বলবা না, শুধু অসুস্থতার কথা বলবা’

ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মিরপুর থানার হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে তোলা হয় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে। এসময় তিনি আদালতের শুনানিতে আইনজীবীকে বেশি কথা না বলে শুধু অসুস্থতার কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি।

সোমবার সকাল ১০ টা ১২ মিনিটে কারমরুলসহ অন্য আসামিদের আদালতে তোলা হয়। আদালতের কাঠগড়ায় উঠানোর পর আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন কামরুল। এসময় কামরুল আইনজীবীদের জিজ্ঞেস করেন।  ‘নতুন মামলা না রিমান্ড?’ তখন আইনজীবীরা বলেন, ‘নতুন মামলা স্যার। একের পর এক নতুন মামলা দিয়েই যাচ্ছে।’

এরপর আইনজীবীদের বিভিন্ন পরামর্শ দিতে থাকেন তিনি।

কামরুল আইনজীবীকে বলেন, 'ওকালত নামায় সাইন করেছো?’ আইনজীবী উত্তরে বলেন, জ্বী স্যার। তারপর জিজ্ঞেস করেন এখানে কয়টা মামলা? আইনজীবী জানান ৪০ টার ওপরে স্যার।

এরপর ১০টা ২৩ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠেন। শুনানি শুরু হওয়ার পর আইনজীবীকে কামরুল বলেন, ‘বেশি কথা বলার দরকার নাই শুধু অসুস্থতার কথা বলবা।’

এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর কারণ দেখিয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর কয়েকদফা বিভিন্ন মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অন্য অনেক প্রভাবশালী নেতার মতো সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামকেও প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক সময়ের প্রভাবশালী এই নেতা ২০০৮ নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ পর্যন্ত টানা চারবার তিনি বিজয়ী হন।

নবম সংসদে জয়ের পর ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় তিনি আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। সরকারের পরের মেয়াদে ২০১৪ সালে তাকে খাদ্যমন্ত্রী করা হয়। তবে পরের দুই মেয়াদের মন্ত্রিসভায় তার জায়গা হয়নি।

তিনি আইন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০০৯ সালে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে সময় টেলিভিশন। পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শেষে যা ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল বাণিজ্যিক সম্প্রচারে আসে।

লাইসেন্স নেওয়ার সময়কালে এ টেলিভিশন স্টেশনে তৎকালীন মন্ত্রী কামরুলের ভাগ্নে আহমেদ জোবায়েরের নামে ৯৩ শতাংশ শেয়ার ছিল। ব্যবসায়িক ও পারিবারিক সূত্রের তথ্য, এর মধ্যে ৯০ শতাংশ শেয়ার কামরুল ইসলামের হলেও কাগজে কলমে তা ছিল আহমেদ জোবায়েরের নামে।

অন্য অংশীদারদের মধ্যে কামরুল ইসলামের ভাই মোরশেদুল ইসলামের ৩ শতাংশ শেয়ার ছিল।

ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর অন্য অনেকের মত সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুলের বিরুদ্ধেও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম