নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন
সীমান্ত সমস্যা নিয়ে এবার বাংলাদেশ কড়া ভাষায় কথা বলবে

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ পিএম

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে সোমবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স-বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৫তম সীমান্ত সম্মেলন শুরু হবে।
চারদিনের এ সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, বিএসএফের অনধিকার প্রবেশ ও বেআইনি কার্যক্রম নিয়ে কড়া ভাষায় কথা বলবে বিজিবি। এবার বুক চিতিয়ে কথা বলবে বাংলাদেশ।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এটিই হবে দুই দেশের মধ্যে প্রথম শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক। ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা সীমান্ত সম্মেলন ঘিরে বাংলাদেশের কঠোর অবস্থানের এমন তথ্য বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশের কড়া অবস্থান সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের কথার ‘টোন’ হবে আলাদা। ভারতকে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।
রোববার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সীমান্তে ভারতের বেড়া নির্মাণ, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার মতো বিষয় সম্মেলনে গুরুত্ব পাবে।
সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ও যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকবেন।
অপরদিকে বএসএফ মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে। এছাড়া দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, সীমান্ত হত্যা ও অপহরণ রোধ; মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদের চোরাচালান প্রতিরোধ; অবৈধ অনুপ্রবেশ-বিশেষ করে ভারত সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার মতো বিষয় সম্মেলনে গুরুত্ব পাবে।