অ্যাটর্নি জেনারেল
প্রতিবেশী রাষ্ট্র বিডিআর হত্যায় ষড়যন্ত্র করে

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগ বিডিআর হত্যায় অংশ নিয়েছে কিনা তা তদন্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আধিপত্য
বিস্তার, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখা ও লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করতে প্রতিবেশী
রাষ্ট্র বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্র করেছিল। নির্লজ্জভাবে একজন খুনিকে আশ্রয় দিয়েছে
দেশটি। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিছক কোনো বিদ্রোহ ছিল না। এটা
ছিল আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ও হত্যাকাণ্ড।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) বিডিআর হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে ছায়াসংসদ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সাবেক
সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের প্রচ্ছন্ন নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া বিডিআর হত্যাকাণ্ড সম্ভব ছিল
না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছিল একটা অজুহাত। এ সময় বিডিআর হত্যায় প্রশাসনের পোশাক
পরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে কিনা, সেটিও তদন্ত করা উচিত।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিডিআর
হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশন এ সংক্রান্ত সব তথ্য বের করে
আনবে। এ দেশের সার্বভেৌমত্ব নষ্ট করার জন্যই ৫৭ জন চৌকশ সেনা সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।
জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা এবং যারা মাস্টারমাইন্ড ছিল তাদেরও খুঁজে বের করে আইনের
আওতায় আনতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬
ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪
জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা। এ ঘটনায়
হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক
মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের। হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর
৮৫০ জনের বিচারকাজ শেষ হয়েছে। এতে ১৫২ জনের মৃতু্যদণ্ড, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে
বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার
ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃতু্যদণ্ড বহাল
রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে এবং বিভিন্ন মেয়াদে ২২৮ জনকে সাজা প্রদান
করা হয়। এছাড়া ২৮৩ জনকে খালাস দেওয়া হয়।