Logo
Logo
×

জাতীয়

আয়নাঘরে আরমানের লড়াইয়ের গল্প পাঠ্যপুস্তকে চান ফাহাম আবদুস সালাম

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২২ পিএম

আয়নাঘরে আরমানের লড়াইয়ের গল্প পাঠ্যপুস্তকে চান ফাহাম আবদুস সালাম

ছবি: সংগৃহীত

আয়নাঘর খ্যাত ঢাকার তিনটি টর্চার সেল পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসব জায়গা নির্যাতন এবং গোপন কারাগার হিসেবে ব্যবহার করত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার। এখানের একজন বন্দি ছিলেন ব্যারিস্টার আরমান।

ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আয়ানা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ নিখোঁজ বেশ কয়েকজন। এই তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমান। সেখানে তিনি প্রায় আট বছর আটক ছিলেন।

আজ প্রধান উপদেষ্টার আয়না ঘর পরিদর্শনের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আরমান। তার কয়েকটি ছবি পোস্ট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখক ফাহাম আবদুস সালাম বলেছেন, বীর সন্তানদের সাধারণ মানুষদের কাছে পৌঁছে দিতে আরমানকে নিয়ে পাঠ্যপুস্তকে গল্প লেখা হোক।

লম্বা ফেসবুক স্টাটাসে ফাহাম লিখেছেন,

আরমান আর ওর স্ত্রীর কথা মনে হলে আমি কান্না ধরে রাখতে পারি না। একবার চিন্তা করেন ওদের কথা। বাবাকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। ছেলেকে ৮ বছর একটা ছোট্ট ঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছে। মানুষ পশুর সাথে এই আচরণ করে না। একটা পুরুষ মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় তার ছোট্ট মেয়ের বড় হয়ে ওঠা। আরমান তার মেয়েদের বড় হওয়াটা দেখতে পারলো না। ওর স্ত্রী জানে না তার স্বামী বেঁচে আছে কি না। আহা আমার ভাই! 

আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন এই দুইজন জীবনে দু দণ্ড শান্তি খুঁজে পায়। যেন ওরা আল্লাহর রহমতের ওপর আস্থা ফিরে পায়। আর আমি দোয়া করি যেন এই মহাপাপের শাস্তি ঐ লোকগুলো পায়।

‘আমি আরমান’ নামে একটা গল্প লেখা হোক ক্লাস নাইনের পাঠ্যপুস্তকে। এই জাতির প্রতিটি সন্তানকে মনে করিয়ে দিতে হবে আওয়ামী জুলুমের কথা। ক্লাস সেভেন থেকে প্রতিটি ক্লাসে এদের কথা থাকতে হবে। প্রতিটি আয়নাঘরকে মিউজিয়াম বানাতে হবে এবং বাংলাদেশের প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে এই মিউজিয়ামগুলোতে আনতে হবে।’

আজ আয়না ঘর পরিদর্শন শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠা করে গেছে আ.লীগ সরকার। যারা এমন অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের সবার বিচার করা হবে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম