দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যতে টিকা রপ্তানি করা হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০১ পিএম

ফাইল ছবি
দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে ভবিষ্যতে প্রাণিরোগের টিকা রপ্তানি করা হবে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজের (এলএসডি) বিষয়ে খামারিদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রতিষেধক উৎপাদনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) বাস্তবায়িত ‘জুনোসিস এবং আন্তঃসীমান্তীয় প্রাণিরোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ গবেষণা’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উদ্ভাবিত লাম্পি স্কিন ডিজিজ (LSD) ভ্যাকসিন সিড হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ একটি আন্তঃসীমান্তীয় প্রাণিরোগ আর। এ রোগে মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আক্রান্ত হচ্ছে।
টিকা উৎপাদন করার তাগিদ দিয়ে তিনি আরও বলেন, গবাদি পশুর এই রোগের কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা দ্রুত নিরূপণ করতে হবে।
তিনি গবেষণা ও পরীক্ষাগারগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নতুন নতুন রোগ জীবাণুর আক্রমণ হচ্ছে। এ জন্য সরকার বিজ্ঞানীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
উপদেষ্টা বলেন, আক্রান্ত গরুর মাংস খেলে মানুষের কোনো ক্ষতি হবে কি না, তা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের এলএসডি রোগের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যেতে হবে।
বক্তারা বলেন, প্রতি বছর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রাণিসম্পদ খাতের মারাত্মক আর্থিক ও বাণিজ্যিক ক্ষতি সাধন করছে। এছাড়া বিদেশি ভ্যাকসিন আমদানি করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও বাজারেও তা অপ্রতুল। এক্ষেত্রে বিএলআরআই উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটি স্বল্পমূল্যে সহজলভ্য করা সম্ভব।
বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম।
এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত পরিচালক ড. এ বি এম মুস্তানুর রহমান। এলএসডি ভ্যাকসিনের বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএলআরআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ট্রান্সবাউন্ডারি এ্যানিমেল ডিজিজ রিসার্চ সেন্টারের দপ্তর প্রধান ড. মুহাম্মদ আবদুস সামাদ।
বিশেষজ্ঞ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. বাহানুর রহমান এবং বাংলাদেশ সিস্টেমস স্ট্রেন্থেনিং ফর ওয়ান হেলথের চিফ অব পার্টি প্রফেসর ড. নিতীশ চন্দ্র দেবনাথ।
এর আগে উপদেষ্টা বিএলআরআই উদ্ভাবিত লাম্পি স্কিন ডিজিজ (LSD) ভ্যাকসিনটি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন ও খামারি পর্যায়ে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
এ সময় ভ্যাকসিনবিষয়ক একটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও ভ্যাকসিনটির প্রোডাকশন ম্যানুয়ালের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।