সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার
দুর্নীতি অনুসন্ধানের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার সায়েমুজ্জামানকে

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম

সরকারি কর্মকর্তা হয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নীতিমালা পরিপন্থি কাজ করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক পরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, তদারককারী কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখির কারণে তাকে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকসংশ্লিষ্ট দুর্নীতি অনুসন্ধানের দায়িত্বে ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসন্ধান সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করার কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকারে অভিযান চালানো কাজী সায়েমুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া সায়েমুজ্জামানের বিভিন্ন মন্তব্যের বিষয়ে আপত্তি জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থি। গত সপ্তাহে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে এই চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের পরিচালক।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সায়েমুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধারণাপ্রসূত বিভিন্ন মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থি। চিঠির সঙ্গে সায়েমুজ্জামানের দেওয়া বিভিন্ন মন্তব্যও যুক্ত করে দেওয়া হয়।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযান চালায় দুদক। ব্যাংকে গিয়ে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো লকার খুঁজে পায়নি সংস্থাটি। অভিযান শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পরিচালক সায়েমুজ্জামান। তিনি জানান, ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান যে ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের জন্য এসেছিলাম, তাদের নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি।’ তবে আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযান চালাবে দুদক।