
ফাইল ছবি
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার সিএমএম আদালতে তাদেরকে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডে নেওয়ার পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ী থানার পারভেজ মিয়া হত্যা মামলার আসামি শমসের মবিন চৌধুরী দাবি করেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের দিন বাসায় ছিলেন।
আদালতের কাছে নিজের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় তুলে ধরেন তিনি।
শমসের মবিন চৌধুরী বলেছেন, ‘মাননীয় আদালত, আমি কোনো খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমি তো প্রমাণ করে দিতে পারব ৫ আগস্ট আমি বাসায় ছিলাম। আমাকে রিমান্ডে দেওয়ার আবেদন নাকচ করা হোক।’
একপর্যায়ে শমসের মবিন চৌধুরী আদালতকে বলেন, ‘আমি তো ১৫ বছর বিএনপির রাজনীতি করেছি মাননীয় আদালত।’
শমসের মবিন চৌধুরীর এ বক্তব্যের পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী তার রিমান্ডের যুক্তি তুলে ধরে বলেন, শমসের মবিন চৌধুরী পলটিবাজ নেতা। তিনি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী। জুলাই–আগস্টে গণহত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের একজন হলেন শমসের মবিন চৌধুরী।
উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মবিন চৌধুরীকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে গত বছরের ১৭ অক্টোবর গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২০১৮ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন তিনি। সবশেষ ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন হন তিনি। তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নাজমুল হুদা। গত জাতীয় নির্বাচনের আগে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।