
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি, হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ মারা গেছেন। রোববার সকালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। বিকালে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১ম জানাজা আজ বাদ আসর গাউসুল আযম মসজিদ, গুলশানে অনুষ্ঠিত হবে। ২য় জানাযা আগামীকাল বাদ যোহর, জাতীয় ঈদগাহ ময়দান হবে। এর পর ৩য় জানাযা আগামীকাল বাদ মাগরিব, নিজ গ্রাম দাপুনিয়া, ময়মনসিংহে। সবশেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।
বিচারপতি আবদুর রউফ পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের আগে সেই অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ই প্রথমবারের মতো তিন সদস্যের ইসি পায় বাংলাদেশ। বিচারপতি সুলতান হোসেন খান সরে যাওয়ার পরদিন সিইসি হিসেবে যোগ দেন বিচারপতি মো. আবদুর রউফ।
নির্বাচন কমিশনার আমিনুর রহমান খান কয়েক দিনের মাথায় পদত্যাগ করলে তার জায়গায় আসেন বিচারপতি সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন হোসেন। তার সঙ্গী হন আগের কমিশনার বিচারপতি নঈম উদ্দিন আহমেদ।
ওই কমিশনের অধীনে পঞ্চম সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। সেই নির্বাচনে বিএনপি ১৪০ এবং আওয়ামী লীগ ৮৮ আসন পায়।
অন্তর্বর্তী সরকারের ওই সময়ে রউফ কমিশন নির্বাচনি আইনে ব্যাপক সংস্কার আনে, জারি করা হয় নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ।
বহু কাঙ্ক্ষিত সেই নির্বাচন করে প্রশংসিত হলেও ১৯৯৪ সালে বিএনপির শাসনামলে মাগুরা উপ নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত হন সিইসি রউফ।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আট মাস আগেই সিইসির পদ ছেড়ে বিচারপতি মো. আবদুর রউফ ফিরে যান আবার আদালতে।