পাহাড়ের উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ

রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৭ পিএম

পাহাড়ের উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
শনিবার সকালে রাঙামাটি শহরের রায় বাহাদুর সড়কের নিজ বাসভবনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই হ্রদ পরিবেষ্টিত পাহাড়ি ঘোনায় ছোট ছোট ক্রিকবাঁধ দিয়ে মাছ চাষসহ হ্রদ ঘিরে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনায় হ্রদে মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি স্থানীয়দের উদ্যোগে পাহাড়ি ঘোনাগুলোতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের সম্ভাবনা প্রচুর। মাছচাষ ছাড়াও কাপ্তাই হ্রদ ঘিরে যেসব অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলো কাজে লাগাতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কাপ্তাইয়ে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ব কাগজ কল কর্ণফুলী পেপার মিল বর্তমানে লোকসানে পড়ে আছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে এটিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীকে দেওয়ার চিন্তা রয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাঙামাটিতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক দুটি ক্যাডেট কলেজ স্থাপন, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধিগ্রহণের টাকা পরিশোধ সম্পন্ন করে স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন, পাহাড়ে উৎপাদিত ফলমূল দিয়ে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, হিমাগার স্থাপন, রাঙামাটির ঘাগড়া টেক্সাটাইল মিল চালুসহ তিন পার্বত্য জেলায় বেকারত্ব দূরীকরণ, আত্মকর্মসংস্থান, আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রকল্প নেওয়া হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় সড়ক যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে কাপ্তাই-বান্দরবান সড়কের কর্ণফুলী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, রাঙামাটি পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন, রাঙামাটি-মানিকছড়ি হয়ে খাগড়াছড়ির বাইপাস সড়ক নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাঙামাটিতে বিকেএসপি স্থাপনা নির্মাণসহ ক্রীড়া উন্নয়নেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা রয়েছে। এসব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্প হাতে নিয়ে সেগুলো বাস্তবায়নে শিগগির সরকারকে প্রস্তাবনা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব থাকাকালেই পাহাড়ের উন্নয়নে এসব মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করতে চাই। এজন্য সবার আন্তরিক সহযোগিতার আহবান জানান পার্বত্য উপদেষ্টা। এছাড়া পার্বত্য শান্তিচুক্তির বিশেষ শর্তে প্রবর্তিত তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।