বাংলায় রায় দিলেন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম
মহান ভাষা আন্দোলনের মাসে এক মামলায় বাংলায় রায় দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ।
বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেন।
তিন দশকের বেশি সময় আগে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে গুলি ও বোমা হামলার অভিযোগে করা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর এদিন বাংলায় রায় দেন আদালত। এ রায়ের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্তের অংশটুকু বাংলায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায় ঘোষণার আগে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়বস্তু থেকে চুম্বক অংশ ও সংক্ষিপ্ত আদেশ ঘোষণা করা হবে। ফেব্রুয়ারি মাস মহান ভাষা আন্দোলনের মাস। রায়টা বাংলায় দেওয়া হচ্ছে। এরপর রায়ের পর্যবেক্ষণসহ সিদ্ধান্ত অংশটুকু ঘোষণা করা হয়।
মামলায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই রায় দেন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক ও পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রুস্তম আলী। রায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সবাই বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মী।
মামলায় বিচারিক আদালতের রায়সহ যাবতীয় নথি ২০১৯ সালে হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছায়, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
ফৌজদারি কোনো মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কারও মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যেটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে বিচারিক আদালতের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করতে পারেন হাইকোর্টে।
সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও এসব আপিলের ওপর একসঙ্গে হাইকোর্টে শুনানি হয়ে থাকে। আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর গত ৩১ জানুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায়ের জন্য বুধবার দিন রাখেন। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ বিএনপির দণ্ডিত ৪৭ নেতাকর্মীর সবাই হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেয়েছেন।